অনিদ্রিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা পরিবহন শ্রমিদের ধর্মঘট
রাশেদুন নবী রাশেদ, ইবি : গাড়ি চাপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তৌহিদুর রহমান টিটু নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফুসে উঠেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের প্রায় সব বাসে আগুন দিয়েছে তারা। প্রশাসন ভবনসহ প্রায় সব ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। ভাংচরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি আশংকা করা হচ্ছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁেধ। এ সময় ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ক্যাম্পাস অনিদ্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১২টার দিকে তৌহিদুর রহমান টিটু ক্যাম্পাস থেকে ঝিনাইদহ যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়াকরা গাড়ি সাগর পরিবহনে (কুষ্টিয়া জ-১১-০০৪২) উঠে। পরে সে ওই গাড়ি থেকে নেমে আরেকটি গাড়িতে ওঠার জন্য চলা শুরু করলে পিছন থেকে রাজ মটরস (ঝিনাইদহ ব-১১-০০১) তাকে ধাক্কা দেয়। এসময় তৌহিদের গলা পাশের গাড়ির জানালার কাচে আটকে গিয়ে গলার বেশিরভাগ অংশ কেটে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তৌহিদের সহপাঠিরা জানান, ‘রোববার ৩০৬ নং কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ছিল। তৌহিদসহ আমরা পরীক্ষা দেবার পর ১২টার গাড়ি ধরার জন্য ডায়না চত্তরে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করি। এসময় তৌহিদ একটি গাড়ি থেকে আরেকটি গাড়িতে উঠতে গেলে পিছনের একটি গাড়ির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তৌহিদকে যে গাড়ি ধাক্কা দেয় ওই গাড়িটি সামনের একটি গাড়িকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। সাথে সাথেই টিটু মারা যায়। এদিকে ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা মেইন গেইট ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে। পরে খবর পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সব শিক্ষার্থীরা এসে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহতায় রুপ নেয়। কিন্তু নিহত টিটুর লাশ ক্যাম্পাসে প্রায় ৩ঘন্টা অবহেলায়