জানা যায়,
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা
হাসান সরোয়ারের সাথে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পবনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ
চলে আসছিল।
আর এ কারনে হাসান বাহিনী তার উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রঘাতে চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাইসহ কয়েকজন গুর্বত্বর আহত
হয়। পরে আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করে। এদিকে গত শনিবার ভেড়ামারা থানায় হাসান সরোয়ার কে আসামী করে মামলা
হয়েছে। মামলার পর পুলিশ মিন্টু নামে এক জনকে আটক করে। বাহাদুরপুর
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পবনের অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন পদ্মার
চরের ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল এলাকার হাসান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। আমি ঘটনা জানতে পারলে তাদের প্রতিবাদ করি। এতে হাসান বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার উপর ৰিপ্ত হয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র
করছিল। এ কারনে গত শুক্রবার ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় বাজারের উপর থেকে আমার উপর সশস্ত্র হামলা
চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে আমি অল্পের জন্য প্রাণে রৰা পায়। তার অভিযোগ
পুলিশ এক জনকে নাম মাত্র আটক করলেও বাকিদের আটকের চেষ্টা করছে না। আর এ কারনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে তিনি সহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এলাকার অনেক
রাজনীতিবিদই জানান, হাসান সরোয়ার আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী গ্র্বপের
রাজনীতির সাথে জড়িত। এবার ইউপি নির্বাচনে পবনের জনপ্রিয়তার কাছে
হার মেনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচনে পরাজিত হন। এমনকি সন্ত্রাসী পান্না বাহিনীর অধিকাংশ অস্ত্র ভান্ডার এখন হাসানের কাছে বলেও
তারা অভিযোগ করেন। আর এ কারনে হাসান প্রতিনিয়ত এলাকায় সন্ত্রাসী
কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে হাসানের বক্তব্যে
নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে
ভেড়ামারা থানার ওসি’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
হাসানসহ বাকি আসামীদের আটক করা হচ্ছে না এমন অভিযোগ সত্য নয়। চেয়াম্যানের ওপর হামলার
পরের দিনই পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। বাকি আসামীদের আটকের
জন্য পুলিশের কয়েকটি দল মাঠে কাজ করছে। আসামীদের আটকে রাজনৈতিক
কোন চাপ নেয় বলেও তিনি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন