সোমবার, এপ্রিল ০৮, ২০১৩

চরমপন্থী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে কুষ্টিয়া এলজিইডিতে ২ কোটি টাকার টেন্ডারবাজি

ষ্টাফ রিপোর্টার : চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে কুষ্টিয়া এলজিইডিতে টেন্ডারবাজরা আবারও বেপরোয়া ভাবে শুরু করেছে টেন্ডারবাজি। কুষ্টিয়ায় টেন্ডারলীগ খ্যাত চরমপন্থী কানেক্টেড কথিত ঠিকাদার গত ২৮ মার্চ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দ আইল চারা হাট-পাটিকাবাড়ী ইউপি রোড ভায়া সিদুর ঘাট ও মাজিলা হাট রাস্তায় সাগরখালী খালের উপর ৩৮০ মি. চেইনেজ ৫১.০৬ মিটার গাডার ব্রীজ নির্মাণের টেন্ডার ভাগাভাগি করে নিয়েছে। ভারতে অবস্থিত চরমপন্থীর নাম ব্যবহার করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে প্রকৃত ঠিকাদারদের সিডিউল খরিদ থেকে বিরত রেখেছে টেন্ডারবাজ চক্রটি। সড়ক জনপথ, পানি উন্নয়ন বোডের পর এবার সন্ত্রাসী গডফাদারদের চোখ পড়েছে এলজিইডিতে। শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট ঠিকাদারের লাইসেন্স এবং তার দাখিলকৃত আরও দু’টি সাপোর্টিং লাইসেন্স ব্যতিত আর কোন লাইসেন্সের বিপরীতে কোন সিডিউল টেন্ডারবাক্সে ফেলতে দেওয়া হয়নি। এই কাজের অনুকুলে ৬টি সিডিউল বিক্রি হলেও শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ঠিকাদার ব্যতিত আর কোন সিউিল ফেলতে
দেওয়া হয়নি। কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার এম এ ডব্লিউ জেভি.’র অনুকুলে ২কোটি ১২ লক্ষ ১৯হাজার ৪শত দুই টাকার অনুকুলে কাজটি দেওয়ার সকল প্রস'তি এলজিইডি সম্পন্ন করেছে। এর অনুকুলে যে দু’টি লাইসেন্স সাবমিট হয়েছে তা হলো মেসার্স বাবু এন্ড ব্রাদার্স , মেসার্স জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স । এম এ ডব্লিউ জেভি. ৪.০৯ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করে ২ কোটি ১২লক্ষ ১৯হাজার ৪’শত ২টাকা দাখিল করে। তার সাপোর্টিং লাইসেন্স দু’টির মধ্যে মেসার্স বাবু এন্ড ব্রাদার্স দাখিল করে ২ কোটি ১২লক্ষ ২০হাজার ২’শত ২২টাকা, মেসার্স জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স ২ কোটি ১৪লক্ষ ৭৯হাজার ১’শত ৪৩টাকা। তবে এই লাইসেন্সের সাথে কোন বিডি দাখিল করা হয়নি। ইচ্ছে করে তা সর্টেস রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধহস্ত কুষ্টিয়া এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ও টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক আসাদ সব জানেন বলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কবির জানান, টেন্ডারবাজির বিষয়টি তিনি শুনেছেন তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। একটি সুত্র জানায়, এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী আসাদ ৫% ঘুষের বিনিময়ে এই টেন্ডার জায়েজ করার পাঁয়তারা করছেন। সহকারী প্রকৌশলী আসাদের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। এ বিষয়ে এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, যদি কোন টেন্ডারবাজির অভিযোগ পাওয়া যায় তবে ঐ টেন্ডার বাতিল করে পূণরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। কোন রকম টেন্ডারবাজির সুযোগ আমার সময় কেউ পাবে না। সকল প্রকার অনিয়ম কঠোর হাতে দমন করা হবে। টেন্বডারবাজির সাথে এলজিইডি’র কেউ জড়িত থাকলে তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন