মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩

সাংবাদিকদের সঙ্গে এইচআইভি বিষয়ে লাইট হাউজের মতবিনিময়

iv dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হিজরা ও এমএসএম জনগোষ্ঠীর মাঝে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাসকরণ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার লাইট হাউসের বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সাথে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দি গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে কুষ্টিয়া কোর্টপাড়াস্থ (র‌্যাব ক্যাম্পের সামনে) লাইট হাউস কনসোর্টিয়াম এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিত কুষ্টিয়ার সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রপাতের সহকারী সম্পাদক মিজানুর রহমান লাকী। এসময় প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কুষ্টিয়া লাইট হাউসের ডিআইসি ম্যানেজার আনিসুজ্জামান ও কাউন্সিলর আতাউল করিম। এ সময় তারা বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো- হিজরা ও এমএসএম জনগোষ্ঠীর মাঝে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাসকরণ। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- এমএসএম ও হিজরা জনগোষ্ঠীর জন্য ডিআইসি (ড্রপ ইন সেন্টার) স্থাপন ও কার্যকরী সেবা প্রদান। এমএসএম ও হিজরা জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদানে সক্ষম কর্মী গড়ে তোলা। সামাজিক যোগাযোগ, এ্যাডভোকেসী ও সামাজিক জনগোষ্টির অংশগ্রহন উপযোগী পরিবেশ তৈরী। লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠী অর্থাৎ এমএসএম ও হিজরা জনগোষ্ঠীর ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ হ্রাসকরণে বিসিসি উপকরণ তৈরী। এ প্রকল্পের কৌশলগত দিক হলো- সুপারভাইজার ও পিয়ার এডুকেটরভিত্তিক আউটরীচ এ্যাপ্রোচ; লক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ড্রপ ইন সেন্টার এর মাধ্যমে সেবা প্রদান, সভা/ অনুষ্ঠান আয়োজন ও সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম আয়োজন; যৌনরোগের জন্য ক্লিনিক্যাল সেবা প্রদান; প্রকল্পের সকল কর্মীর জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ আয়োজন; এ্যাডভোকেসী, নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকল্পের উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর মাঝে সামাজিক ও আইনগত যোগাযোগ বৃদ্ধি। এ প্রকল্পের প্রত্যাশিত ফলাফল হলো- হিজরা ও এমএসএমদের জন্য ডিআইসি স্থাপন। কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে হিজরা ও এমএসএম দের মাঝে যৌনরোগের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস। প্রকল্পের কর্মীদের জ্ঞান উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ও তাদের দ্বারা উপকারভোগী জনগোষ্ঠির জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশ্ক্ষিন আয়োজন। উপযোগী নীতিমালা/ গাইডলাইন তৈরী যার মাধ্যমে এমএসএম ও হিজরাদের জন্য কার্যকরী প্রতিরোধমূলক, চিকিৎসামূলক, পরিচর্যামূলক ও আইনগত সহায়তা প্রদান নিশ্চিত হবে। এমএসএম ও হিজরাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন, বন্চনা, প্রতারণা ইত্যাদি কমে যাবে। এমএসএম ও হিজরাদের আচরণের পরিবর্তন হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে। এমএসএম ও হিজরাদের সমঝোতা সৃষ্টি ও অন্যকে কনডম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। কিভাবে এইচআইভি ছড়ায়- অনিরাপদ যৌনাচররেন মাধ্যমে ঃ এইচআইভি আক্রান্ত কারো সাথে অনিরাপদ দৈহিক মিলনের ফলে রক্তের সঞ্চালনের মাধ্যমে ঃ এইচআইভি ভ্ইারাস আছে এমন রক্ত শরীরে গ্রহন করলে ; আন্তঃশিরায় মাদকদ্রব্য গ্রহণকারী এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির একই সিরিঞ্জ সুঁচ অন্য ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার। আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে শিশুঃ গর্ভাবস্থায়, জন্মের সময় বা জন্মের পরেও শিশুরা এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে। শিশুরা এইচআইভি আক্রান্ত মা থেকে নিম্নের ৩ টি উপায়ের যে কোন একভাবে সংক্রমিত হতে পারে- যখন ভ্রƒণ মায়ের গর্ভের ভিতরে থাকে, তখন গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার মাধ্যমে মায়ের দেহের তরল থেকে জন্ম নেওয়ার সময় মায়ের রক্ত থেকে মায়ের বুকের দুধ থেকে।এইচআইভি সংক্রমন থেকে নিরাপদ থাকার উপায় ঃ বিশ্বস্ত ব্যক্তির (স্বামী বা স্ত্রী) ব্যতীত অন্য নারী বা পুরুষের সাথে দৈহিক মিলন থেকে বিরত থাকা। যৌন মিলনের সময় সর্বদা ও সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করা রক্ত গ্রহনের আগে পরীক্ষা করে এইচআইভি মুক্ত রক্ত বা রক্তজাত বস্তু বা শরীরের কোন অঙ্গ গ্রহণ করা প্রতিক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের নতুন সূচ ও সিরিঞ্জ ব্যবহার করা। সম্ভব না হলে প্রতিবার ব্যবহারের পুর্বে সূচ ও সিরিঞ্জ ২০ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রেখে জীবানুযুক্ত করে নেয়া। অস্ত্রপচারের সরঞ্জাম সর্বদা জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করা এইডস আক্রান্ত মা সন্তান ধারনের পূর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ও গর্ভকালীণ চিকিৎসা গ্রহণ করা। সঠিক নিয়ম মেনে চললে সন্তানের সংক্রমিত হবার সম্ভবনা প্রায় থাকে না। এ প্রকল্পের মেয়াদ আগষ্ট ২০১০ থেকে নভেম্বর ২০১৫ সাল পর্যন্ত। ৫ টি বিভাগের ২১ টি জেলার ৩২ টি এলাকায় এ প্রকল্প কর্ম এলাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন