বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৪, ২০১৪

খোকসায় রেজিস্ট্রেশন ফিসের নামে চলছে চাঁদাবাজি

অষ্টম ও নবম শ্রেণী থেকে অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা ফিস আদায়

মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : খোকসায় ৮ম ও ৯ম শ্রেণির প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফিস এর নামে অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে উপজেলার ৩১টি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা থেকে অষ্টম শ্রেণির ও নবম শ্রেণির প্রায় ৩,৯৩২ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণিভিত্তিক রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে খোকসা জানিপুর বালিকা বিদ্যালয়, ফুলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়ন্তীহাজরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শোমসপুর বালিকা বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সিন্টিকেট। সরকার ঘোষিত নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজেদের সুবিধামত প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফিস, সেশন চার্জ, ক্রীড়া-সংস্কৃতিক ফিস, সনদপত্র ও বিবিধ ফিসের নামে ৭১৫ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড চলতি বছরে রেজিষ্ট্রেশন ফিস ৮ম শ্রেণির জন্য ৬০ টাকা ও ৯ম শ্রেণীর জন্য ১৭৫ টাকা ধার্য করলেও উপজেলার প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থী প্রতি রেজিস্ট্রেশন ফিস আদায় করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। একাধিক অভিভাবক এ ব্যাপারে
অভিযোগ করেছে কিন্তু কেউ প্রতিকারের জন্য এগিয়ে আসেনি।  নাম গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে অনেক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষকরা একক সিদ্ধান্তে রেজিস্ট্রেশনের অজুহাতে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজী করেছে। তারা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু কাজে আসেনি।  সমিতির মাধ্যমে কোন প্রকার ফিস নির্ধারণ করা হয়না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন শোমসপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সমিতির সভাপতি আইন উদ্দিন। তিনি বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিস আদায় করা হয়।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক জানালেন নিজের অসহায়ত্বের কথা। ফিস নির্ধারণের কোন আদেশ-নির্দেশ তার কাছে নেই বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। তিনি তার পদটিকে থুটো জগন্নাথের সাথে তুলনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন