রবিবার, জুলাই ১৩, ২০১৪

গাংনীর কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্ব ঘোষিত র্নিবাহী সভাপতির হাতে জিম্মি।

জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুরঃ - মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্ব ঘোষিত নির্বাহী সভাপতি আমিনুল ইসলামের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্ন শিক্ষকরা। নির্বাহী সভাপতির অত্যাচারে অতিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরাও। এই সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকার মিটিং করেন তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষা বোর্ডের ১৬/০৬/২০০৯ ইং তারিখের প্রাঞাপন এস,আরও নং ১৫৩/আইন /২০০৯ প্রবিধান মালার ৪৮ নং প্রবিধান লঙ্ঘন করে সভাপতি হয়েছেন।বিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠত হয় এবং দাতা হিসাবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিযুক্ত ছিলেন মৃত হৈফতুল্লা বিশ্বাস। আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয়ের কাউকে কিছু না জানিয়ে ্এবং কোনো প্রচার প্রচারনা ছাড়াই ৫ সদস্যের একটি নিবৃাহী কমিটি গঠন করে সভাপতি সেজেছেন। যেন গাঁয়ে মানেনা আপনে মড়ল। তিনি বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণী চালু করে লক্ষ লক্ষ টাকার শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য করেছেন বলে অনেকেই অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষক সাইদুজ্জচামান বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সভাপতি সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি সভাপতি হিসাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। এ কারনে লেখা পড়া চরম ভাবে বিগ্নীত হচ্ছে। শিক্ষক মিরাজ হোসেন বলেন, শিক্ষকরা হাজার অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে বিদ্যালয়ে বসে থাকেন কেউ মুখ খুলতে পারেনা। আমরা সকলেই তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। কেউ কিছু বল্লে তাকে অসভ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হত্যার হুমকি দেখান। তিনি অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলছেন বহাল তবিয়তে। ২.৮২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ২০১৩ ইং সালে সম্প্রসারিত হয়। যা আজ হুমকির মুখে। বিদ্যালয়ে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান বাদি হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্বোড পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। যার আবেদনের
প্রেক্ষিতে গত ৯/৭/২০১৪ইং তারিখে গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার বিমল কৃঞ শিক্ষক,প্রশাসন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গনিয়ে তদন্ত করেন। সেখানে স্থানীয় উপস্থিত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুন্নত আলী সহ সহকারি শিক্ষকগনএবং স্থানীয় লোক জন প্রতারক সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ খাড়া করেন। সেই সাথে তার সভাপতির পদ বাতিলের জোর দাবী জানান। তদন্ত বোর্ডে অভিযোগকারীরা জানান,আমিনুল ইসলাম অবৈধ ভাবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হয়েছেন,ফলে গুরুত্ব পূর্ণ পদটি এলাকার মানুষের সাথে প্রতারনা ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সহ সকল সরকারি বিধিমালা কে কলংকিত করেছে। যে কারেনে তার পদটি বাতিলের দাবী করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন