মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০১৪

খোকসায় ষ্ট্যান্ডরিলিজ হওয়া এসআই এর বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের তদন্তে ধীরগতি

ওসি বললেন পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ হলে সেটি হয় মুখরোচক

খোকসা প্রতিনিধি : খোকসায় সাবেক এক কৃষি কর্মকর্তাকে থানায় আটকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগে সদ্য ষ্ট্যান্ডরিলিজ হওয়া সাব-ইনেসপেক্টর হাবিবের বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগের তদর্ন্তে ধীরগতি। রবিবার একটি অভিযোগের তর্দন্ত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী নওয়াজ বললেন পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ হলে সেটি হয় মুখরোচক। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, হিলালপুর গ্রামের শহিদুল আলম টিপু প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন দলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। এক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের খুশি করতে পুলিশের সাব-ইনেসপেক্টর হাবিব উল্টো করে অভিযোগকারীকে ৩ ঘন্টা থানায় আটকে রেখে নানা হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। অবশেষে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ৩ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে শহিদুল আলম মুক্তি পান। এ খবর জানা জানি হয়ে গেলে রবিবার অভিযুক্ত এসআই হাবিবকে থানা থেকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। একই সাথে তাকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই গ্রামের শহিদ মেলেটারী নামের আর এক সাবেক সেনা সদস্যকে সম্প্রতি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে থানা হাজতে আটকে সাব-ইনেসপেক্টর হাবিব ৭৫০০ টাকা আদায় করে। আবার তাকে ৩০ ধারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে সাবেক সেনা সদস্য শহিদ এ ঘটনায় সাব-ইনেসপেক্টর হাবিবসহ ২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। গত রবিবার এ অভিযোগেরও তর্দন্ত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্র্যন্ত তা হয়নি। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী নওয়াজ বলেন, তর্দন্ত হওয়ার কথা
ছিলো কিন্তুু তা হয়নি। তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ হলে সেটি হয় মুখরোচক।  সাবেক কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল আলম টিপু পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করে বলেন সাব-ইনেসপেক্টর হাবিব তাকে থানায় আটকে জোর করে ঘুষ নিয়েই র্ক্ষান্ত হয়নি তার সাথে অশোভন আচরণও করেছে। তর্দন্ত হলে তিনি উপস্থিত হয়ে ঘটনা খুলে বলবেন বলে জানান। সাবেক সেনা সদস্য শহিদ জানায়, কোন অভিযোগ ছাড়াই পুলিশের এসআই হাবিব তাকে হিলালপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে থানায় নিয়ে যায়। থানা হাজতে আটকে ক্রসফায়ারের ভয় ভীতি দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে দুটি ছাগল বিক্রিকরে পুলিশের সাব-ইনেসপেক্টর হাবিবকে ৭৫০০ হাজার টাকা দেওয়া হয় কিন্তু তারপরেও পুলিশ তাকে ২৩ ধারায় জেল হাজতে পাঠায়। থানা হাজতে আটকে টাকা আদায়ের সাথে তৎকালীন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল¬াহর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তার অভিযোগের তদর্ন্তে তাকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ করেন।  এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী নওয়াজ স্বীকার করেন একটি ঘটনায় একজন এএসপির নেতৃত্বে একটি তর্দন্ত কমিটি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন