রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০১৪

কুষ্টিয়ায় ২০ দলীয় জোটের কালো পতাকা মিছিল



স্টাফ রিপোর্টার : ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বরোচিত ইসরাইলী হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ২০ দলীয় জোট কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে কালো পতাকা মিছিল হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় মিছিলটি কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে বড় বাজার রেল গেটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, সহসভাপতি শহিদুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এ্যাড.কুতুবুল আলম নতুন, এসএম ওমর ফারুক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুমারখলী সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম আনসার প্রমানিক, সদর থানা জামায়াতের আমির মোহাম্মাদ আলী, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মোক্তারুজ্জামান বেলু প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনিদের উপর যে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় যে বর্বর হামলা চালিয়ে নারী পুরুষ ও শিশুদের পর্যন্ত হত্যা করছে এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। 
বক্তারা আরো বলেন, ইসরাইল যখন নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করছে তখন বিশ্ব বিকেক সোচ্চার হচ্ছে না। ক্ষমতার মসনদে বসা বর্তমান সরকারও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ‘ধরিমাছ না ছুই পানি’ নীতি অবলম্বন করেছে। সরকার ইসরাইলের ব্যাপারে বিশেষ করে মুসলীম বিশ্বকে সাথে নিয়ে যে মাত্রায় সোচ্চার ও সক্রিয় হওয়া উচিৎ ছিল তা হচ্ছে না। কারণ এতে ভারত ও ইসরাইল নাখোশ হবে। এ দু’টি শক্তির উপর ভর করেই বর্তমান সরকার টিকে আছে। এ কারণেই তারা ফিলিস্তিনে ১৪ দলের প্রতিনিধি পাঠানোর নামে নিরীহ ফিলিস্তিনেদের সাথে মশকারা করতে যাচ্ছে।
বক্তারা এ হামলায় বিরুদ্ধে মুসলিম সকল দেশকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.শামীম উল হাসান অপু, শামসুজ্জাহিদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সমাজ কল্যান সম্পাদক গাজী গোলজার গোলো, প্রচার সম্পাদক বাজী আব্দুর রব দিলু, সমবায় সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুক্তার, বন ও পরিবেশ সম্পাদক খন্দকার আব্দুস সালাম, জাসাস জেলা সভাপতি ইমরান হোসেন সঞ্জু, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান টুটুল, শহর সভাপতি লিটন, ত্রাণ ও পর্ণ বাসন সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক ইমতিয়াজ হাসান পুলক, ক্রিড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আউয়াল, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুইদ বাবুল, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কেএইচ সরোয়ার হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মিঠু, খন্দকার সামসুজ্জোদাহা লাল্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ জাকারিয়া উৎপল, ফুয়াদ রেজা ফাহিম, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, কুমারথালী থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া মিলন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান সবুজ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন