সোমবার, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪

কুষ্টিয়ায় জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা অর্জনের আগ মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঘাতকরা কেড়ে নিয়েছিল দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বিজয় উল্লাসের আগ মুহূর্তে অশ্র“স্নাত এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছে জাতি। রোববার সকালে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে বিনয় ও শ্রদ্ধায় কুষ্টিয়া জেলাবাসী স্মরণ করেন সেইসব বুদ্ধিজীবীদের। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে লাল সবুজের পতাকা ও ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় ফুল দিয়ে সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসনের পক্ষে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের পক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নাসিম উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব রফিকুল আলম টুকু, জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) লিমন রায় ও কুষ্টিয়া কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি সাহা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আফরোজা আক্তার ডিউ। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আনাকলি মাহবুব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব-উল ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু হেনা মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) লিমন
রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, এনডিসি রাসেল মিয়াসহ সরকারী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাত্র দুইদিন আগে হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসররা বাংলাদেশকে মেধা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি শূন্য করতে শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। তাদের অনেকের লাশ মিরপুর ও রায়ের বাজারে পাওয়া গিয়েছিল। বাকিরা আজও নিখোঁজ রয়ে গেছেন। সেই সব বুদ্ধিজীবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন