শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৩

পুলিশের পিকআপে আগুন : বিজিবি মোতায়েন


 

মেহেরপুরে পুলিশের সাথে সংর্ঘষে জামায়াত কর্মীর মৃত্যু : ওসিসহ আহত ২০

মেহেরপুর সংবাদদাতা : মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগরে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে দেলোয়ার (৪০) নামের এক জামায়াত কর্মী মারা গেছে। নিহত জামায়াত কর্মী দেলোয়ার মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের দোহাব আলীর ছেলে।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা হয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায় বলে জানা গেছে। এদিকে দেলোয়ারের মৃত্যুর খবর পৌছালে মুজিবনগরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে মেহেরপুর জেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজিবি মুজিবনগরের বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে।অপরদিকে নিহত দেলোয়ারে লাশ মেহেরপুরের দারিয়াপুরের নিজ বাড়িতে এসে পৌছিয়েছে বলে জানা গেছে। বিকেলে জানাজা শেষে তাকে দারিয়াপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানায়।এদিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর নামক স্থানে হরতালের সমর্থনে জামায়াত শিবির সড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ বাঁধা দিলে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে । পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে টিয়ারসেল ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় এক জামায়াত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছে,মুজিবনগর থানার ওসি রবিউল হোসেন,৫ পুলিশ সদস্য সহ ২০ জন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন,মুজিবনগর থানার এসআই এস মান্নান,কনস্টেবল খায়রুল,আজহারুল এবং মীর উল আলম। গুলিবিদ্ধ জামায়াত ও শিবির কর্মীরা হলো-সুলতান আহম্মেদ, মানিক, নোমান, আক্তারুজ্জামান, রাফিউল ইসলাম, সুমন আলী,দেলোয়ার হোসেন ও মোজাম্মেল হোসেন।আহতদের মধ্য,মুজিবনগর থানার এসআই এস মান্নানের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে য়শোর সামরিক হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।আহত মুজিবনগর থানার ওসি সহ আহত পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আহত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মুজিবনগর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর-মেহেরপুর সড়কের গৌরিনগর নামক স্থানে জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী ২য় দিনের হরতালের সমর্থনে সড়ক অবোরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জামায়াত-শিবির। পুলিশ বাঁধা দিলে জামায়াত-শিবির পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা পুলিশ সদস্যদের কুপাতে থাকে। পুলিশ এসময় আতœরক্ষার জন্য টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও গুলি চালায়।মেহেরপুরের পুলিশ সুপার নাহিদুজ্জামান বলেন, মুজিবনগর ও চকশ্যামনগরের পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন