শনিবার, অক্টোবর ১২, ২০১৩

পদ্মা ডায়াগষ্টিক এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু : থানায় অভিযোগ দায়ের : মামলা হয়নি

হাওয়া প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া পদ্মা ডায়াগনষ্টিক এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে মারা যাওয়া শিশুর পিতা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানা বিষয়টি আমলে নেয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সদর উপজেলার উত্তর লাহিনীপাড়ার জাহিদুল ইসলাম তার স্ত্রী উপমাকে ভর্তি করে পদ্মা ডায়াগনষ্টিক এন্ড প্রাইভেট ক্লিনিকে। পেটের সন্তান জন্ম নেয়ার মতো পরিপূর্ণ অবস্থায় না থাকলেও জোর করে ওই প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক জেসমিন অপারেশন করে। জেসমিন ডাক্তার না হয়েও অপারেশন করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জেসমিন এক সময় ক্লিনিকের নার্স ছিলেন। সেখান থেকে শিখে নিজেই ক্লিনিক বানিয়ে
অপারেশন করে চলেছেন বলে সূত্র দাবী করেছে। গত ২ অক্টোবর দুপুরে উপমার অপারেশন করার পর জন্ম নেয় একটি ছেলে সন্তান। জন্ম নেয়া শিশু জন্মের পর গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। শিশু বিশেষজ্ঞর কাছে না পাঠিয়ে জেসমিন আক্তার নিজেই স্যালাইন দিয়ে এসি রুমের মধ্যে ফেলে রাখে ওই শিশুকে। যেখানে ওই শিশুর দরকার ছিলো অক্সিজেন এবং ইনকিউবেটর সেখানে তাকে রাখা হয় এসি রুমের মধ্যে। পরের দিন ওই শিশুর চরম শ্বাস কষ্ট শুরু হলে তাকে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতালে। মারা যায় আগের দিন পৃথিবীর মুখ দেখা শিশুটি। একজন সিজারিয়ান রুগীকে ৮ দিন রাখার নিয়ম থাকলেও উপমাকে অপারেশনের তিনদিনের মাথায় তাকে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় ওই প্রাইভেট হাসপাতাল কর্ত্তৃপক্ষ। এঘটনায় ওই শিশুর পিতা কুষ্টিয়া মডেল থানায় গত ৯ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। এব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন