রবিবার, অক্টোবর ০৬, ২০১৩

খোকসায় এসিডে ঝলসে যাওয়া কাকলির ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা: কুষ্টিয়ার খোকসায় এসিডে ঝলসে যাওয়া কাকলী খাতুনের বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বড়ইচারা গ্রামের মৃত: আজমত শেখের ছেলে পানজু শেখ ও তার স্ত্রী কাকলী খাতুনের বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পানজুর আপন ভাই লালন বলেন, রাতে ঘরে আগুন ধরেছে টের পেয়ে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করে এলাকাবাসীর ডাকা ডাকি করি এবং এলাকাবাসী আসতে আসতে ঘরের সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো জানান নগদ টাকা, সোনাসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাকলী খাতুনের বাবার বাড়ী উপজেলার নিশ্চিন্তবাড়ীয়া গ্রামে। এলাকাবাসী জানায়, কাকলীর যারা এসিড মেরেছিলো তারাই এ কাজ করেছে। তারা প্রায়ই বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতো। উত্তর বড়ইচারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পানজুর চাচাত ভাই ইউনুস আলী বলেন, আমার মনে হয় ঘরের চারিদিকে প্যাট্রোল দিয়ার পর আগুন দিয়েছে যার কারনে দ্রুত ঘরটি পুড়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এসিড যারা মেরেছিলো তারাই এ কাজ করেছ।এ মামলার আয়ু এসআই আকবর আলী বলেন, তৃতীয় কোন ব্যাক্তি এ কাজ করতে পারে। তাদের খুজে বের করা হবে।উল্লেখ্য গ্রামের এক বখাটে ছেলে হাফিজ কাকলীর স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই বিয়ের প্রস্তাব দিতো এবং বলতো রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে এমন হুমকি দিতো। এক পর্যায়ে কাকলীকে পরিবার থেকে পানজুর সঙ্গে বিয়ে দেয়। এরই ফলে কাকলীর তিনবার এসিড ছুরলেও ততটা ক্ষতি হয়নি কিন্তু চতুর্থবার শশুর বাড়ী থেকে এসিড মেড়ে মুখ এবং সমস্ত শরীর ঝলছে দিয়েছে হাফিজ এবং তার দুই সহযোগি। পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে ব্র্যাক কাকলীর চিকিৎসার দায়ভার নিয়ে ঢাকা চিকিৎসা দেয় এবং এখন পর্যন্ত ঢাকায় ব্র্যাকের সহায়তায় চিকিৎধীন রয়েছে। পরে খোকসা থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ হাফিজসহ তার দুই সহযোগিকে গ্রেফতার করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন