ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন মেরামত বাবদ ১কোটি ৪৭ লাক্ষ টাকার টেন্ডার নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে টেন্ডার ক্রয়ের দু’টি গ্রুপ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিসে টেন্ডা ক্রয় করতে আসে দুটি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীকে টেন্ডার বিক্রি করতে নিষেধ করলে অপর পক্ষ প্রধান প্রকৌশলেিক অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। একপর্যায়ে টেন্ডার ক্রয় করতে আসা দুটি গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। টেন্ডার ক্রয় নিয়ে উভয় গ্রুপ নিজেদের শক্তি জানান দিতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দিয়ে শোডাউন দিচ্ছে বলেও প্রতক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস কতৃক প্রশাসন ভবন, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের মেরামত ও আসবাপত্র সরবরাহর জন্য ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করে। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একাংশের ছত্রছায়ায় বেশ কিছু কর্মকর্তাদের সম্বনয়ে বকুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এ কাজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। অপরদিকে টেন্ডার ক্রয়ের আর একটি গ্রুপ স্থানীয় ঠিকাদার
(তবিবুর রহমান তোতা ও বিকাশ) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশকে সাথে নিয়ে এই টেন্ডারের সিডিউল ক্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস কতৃক প্রশাসন ভবন, একাডেমিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনের মেরামত ও আসবাপত্র সরবরাহর জন্য ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করে। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের একাংশের ছত্রছায়ায় বেশ কিছু কর্মকর্তাদের সম্বনয়ে বকুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এ কাজ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। অপরদিকে টেন্ডার ক্রয়ের আর একটি গ্রুপ স্থানীয় ঠিকাদার
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, এই টেন্ডারকে কেন্দ্র করে গত ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি (সাইফুল ইসলাম) এবং সাধারণ সম্পাদককে (অমিত কুমার) চাকু মারার হুমকি দেয় একটি পক্ষ। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চাপে ২৩ মে পর্যন্ত টেন্ডারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল বুধবার ছিল টেন্ডার সিডিউল ক্রয়ের শেষ দিনহওয়ায় টেন্ডার ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ঠিকাদার তোতা ও বিকাশ গ্রুপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্র্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্বনয়ে বকুল জোয়ার্দ্দার গ্রুপ প্রকৌশল অফিস এলাকায় অবস্থান নেয়। একপর্যায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বকুল জোয়ার্দ্দার গ্রুপের লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলী মকবুল আহম্মেদকে টেন্ডার বিক্রিতে বাধা প্রদান করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় তারা প্রধান প্রকৌশলিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. ত,ম লোকমান হাকিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এদিকে ট্রেন্ডার নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে টানাপড়নের কারণে নিজেদের শক্তি জানান দিতে স্থানীয় বহিরাগতদেরকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মিটিং করেত দেখাগেছে। নিজেদের শক্তি জানান দিতে তারা আগ্নোয়েস্ত্র নিয়ে ক্যম্পাসে শোডাউন দিচ্ছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করে।
এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. ত.ম লোকমান হাকিম বলেন,“ টেন্ডার নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সাথে সাথে সমাধান করা হয়েছে। আজ (গতকাল) সিডিউল জমা দেওয়ার শেষে দিন ছিল। কেউ যেন টেন্ডার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে না পারে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এবিষয়ে প্রধান প্রকৌশলি মকবুল আহম্মেদকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন