বৃহস্পতিবার, মে ২৮, ২০১৫

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে কল্পিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃনমূল নেতৃবৃন্দ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকাল অবরোধ ডাকার পর থেকেই প্রতিদিন রাজপথে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু প্রতিনয়ত পুলিশি বাধায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল পন্ড, না হয় ছত্র ভঙ্গ হত।
ঠিক সেই সময়ে জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতা কর্মীদের নামে মামলা হলে আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পরে। ২৮ জানুয়ারী সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন গ্রেফতার হলেও সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী কৌশল অবলম্বন করে গ্রেফতার না হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যান। আর এসব আন্দোলন সংগ্রামে কতিপয় কিছু সুবিধাবাদী ছাড়া বিএনপির জেলা কমিটির অধিকাংশ নেতা কর্মী অংশ গ্রহন করতো। কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় এবং কিছু স্থানীয় পত্রিকায় জেলা
বিএনপির কার্যক্রম ও সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ কিছু নেতাদের জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ হলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির একাধীক নেতাকর্মী বলেন, বৈরী পরিস্থিতিতে নেতাদের আত্মগোপনে রেখেই সর্বাত্মক আন্দোলনের কৌশল নেয় বিএনপি। সেই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রকাশ্যে রাজপথে নেমে এলে তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে। ফলে আন্দোলনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে। এ কারণেই গ্রেফতার এড়াতে কৌশলী থাকার বিষয়টিতে নীতিগতভাবে সম্মতি দেন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া। তবে আত্মগোপনে থাকলেও শীর্ষ নেতারা যেন তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এবং আন্দোলনের মাঠে তাদের পরিচালনা করেন, চেয়ারপারসনের সেই নির্দেশনাও ছিলো। আর এ কারণেই জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ জেলার শীর্ষ কিছু নেতা গ্রেফতার না হয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে দলীয় সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যান। সেই সাথে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মামলা এবং জামিনের ব্যাপারে সবসময় মনিটরিং করেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু বলেন, সরকারের সঙ্গে রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। তাদের রাষ্ট্রীয় শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হলে প্রয়োজনীয় কৌশল নিতেই হবে। গ্রেফতার এড়াতে শীর্ষ কয়েক জন নেতা আত্মগোপনে থাকলেও জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমী তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে সর্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আর একারনেই বর্তমান ভায়াবহ পরিস্থিতির পরেও আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে এবং আরো জোরদার হচ্ছে। আত্মগোপনে থেকে আন্দোলন অব্যাহত রাখা এ সময়ের কৌশল বলে তিনি মন্তব্য করেন। সেই সাথে তিনি সম্প্রতি জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এসএম ওমর ফারুক, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ এবং তাকে ও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুকে জড়িয়ে রেড ক্রিসেন্টের নির্বাহী সদস্য হওয়া নিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট একটি সামাজিক সংগঠন এখানে সকলেই থাকতে পারে, আর আমরা এই সামাজিক সেবা মূলক সংগঠনের সাথে জড়িত আছি।
এদিকে শুধু কুষ্টিয়াতে নয়, বৈরি পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জেলাতে ২০ দলীয় জোট আতœগোপন কৌশলে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। অন্যদিকে জেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জাতীয়তাবাদী চিন্তার মানুষকে রাজনৈতিকভাবে অভিভাবকহীন করতে সরকার মেহেদী রুমী ও সোহরাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। আর এ সুজোগে বিএনপির নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনটির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি স্বার্থনেশি মহল কল্পিত সংবাদ প্রকাশ করে এ ষড়যন্ত্র করছে। দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তে কুষ্টিয়ায় মেহেদী রুমী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তার কণ্ঠ স্তব্ধ করতে কল্পিত অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মেহেদী রুমী বলেন, নেতাদের আত্মগোপনে যাওয়াটা সাময়িক কৌশলের অংশ। আর বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনা ছিল গ্রেফতার হওয়া যাবে না। তাই কৌশলী হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন