শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ০৮, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় ৯ বিএনপি নেতা-কর্মীর জামিন লাভ


আব্দুম মুনিব :
পুলিশের দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরো ৯ নেতা-কর্মী জামিন লাভ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত তাদের জামিন প্রদান করেন। জেলা জজ শফিউর রহমান ছুটিতে থাকায় অতিরিক্ত জেলা জজ-১ মমতাজ পারভিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমীর বাদশা, পোড়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্য্যাড. খন্দকার মেহেদী হাসান পলাশ, শহর ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান খোকন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল করিম শাওন, যুবদল নেতা ওসমান গণি, রানা, শহর ছাত্রদলের নেতা জুয়েল আহমেদ রনি ,ছাত্রদল নেতা তুহিন ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য পিংকু মির্জা। জামিন পাওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে জামিনপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, জেল,জুলুম, নির্যাতন আর হামলা মামলা করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। সত্যেও জয় একদিন হবেই। বিএনপির নেতা-কর্মীদেও নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ এটাই প্রমাণ করেছে যে, তারা দলীয় সরকারের হয়ে কাজ করছে। ক্ষমতার পালা বদল আসবে। এটা প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চায়। আগামীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে সব কিছুর বদলা নেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা দেখে ভয় পায় না। বিএনপির নেতা-কর্মীদেও নামে যত মামলা হবে ততই মহাজোট সরকারের পতন দ্রুত হবে। মহাজোট সরকার বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম দমিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলা দেখে ভয় পায় না। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ মহাজোট সরকারকে বুঝিয়ে দেবে মিথ্যা আর ষড়যন্ত্রেও জবাব। দিন যতই যাচ্ছে মহাজোট সরকারের পতন দ্রুত সন্নিকটে আসছে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, এমএ শামীম আরজু, মাহমুদুর রহমান আল কাদেরী, এসএম ওমর ফারুক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শমিম উল হাসান অপু, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, শহর বিএনপির নেতা রবিউর রহমান, আবু তালেব, পিস্তা, আনিসুল ইসলাম টোকন, রোফিকুল ইসলাম লাবু, আব্দুর রশিদ, জেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ,জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, সদর থানা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, ভেরামারা থানা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক শমীম রেজা, শহর যুব দলের যুগ্ন সম্পাদক সম্পাদক ফয়সাল হাসান খালিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, যুব নেতা আল আমিন শাহিন, মহিলাদল নেত্রী নিলুফা আকতার নাসরিন, কুমকুম বেগম, শিরিন রতন, শহর কৃষক দলের আহ্বায়ক বাবলা আমিন চৌধুরী, কৃষকদল নেতা মোকারম হোসেন মোকা, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রিংকু, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাপ্পি, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল বাদশা, যুগ্ন আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা আরিফ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি, সদর থানা বিএনপি, শহর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উলে¬¬খ্য, গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় মডেল থানায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধাদলের সভাপতি সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনসহ ১৮জনের নাম উলে¬খসহ অজ্ঞাত আরোও ৪/৫শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মডেল থানার এসআই ওবাইদুর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন