মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৩

১৪৪ ধারা ঠেকাকে পারেনি জনতার ঢল : কুমারখালীতে কারামুক্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গনসংবর্ধনা

জেল জুলুম হুলিয়া জারী করে বর্তমান সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্র উন্মোচন করেছে : সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী
আব্দুম মুনিব / শরিফুল ইসলাম :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গণসংবর্ধনা দিয়েছে কুমারখালী থানা ও পৌর বিএনপি। গতকাল বিকালে নন্দলালপুর বোর্ড অফিস মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গতকাল মহিলা কলেজ মাঠে সংবর্ধনা উপলক্ষে কুমারখালী থানা ও পৌর বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছিলো। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে কুমারখালী ষ্টেশন চত্বরে সংবর্ধনান স্থান নির্ধারন করে পোষ্টার মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার প্রচারনা করা হয় কিন্তুু ১ দিন আগে হটাৎ করে ষ্টেশন চত্বরে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবীতে একই দিনে সমাবেশের ঘোষনা দেয় শহর আওয়ামীলীগ। এরপর প্রশাসনের অনুরোধে বিএনপির পক্ষ থেকে গণ সংবর্ধনার স্থান পরিবর্তন করে কুমারখালী মহিলা কলেজ মাঠে করা হয়। কিন্তুু গতকাল হঠাৎ করে সংবর্ধনা সভা পন্ড করতে একই সময়ে একই স্থানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সমাবেশ আহবান করে শহর আওয়ামীলীগ। একই স্থানে দুটি সংগঠন সমাবেশ ডাকায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকায় দুপর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমারখালী পৈার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষথেকে কুমারখালী পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করায় কুমারখালী থানা বিএনপি তড়িৎ সিন্ধান্ত গ্রহন করে শহরের পার্শ্ববর্র্তী নন্দলালপুর বোর্ড অফিস মাঠে সংবর্ধনার আয়োজন করে। এদিকে ১৪৪ ধারার বাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন ভাবে হাজার হাজার জনতা সংবর্ধনায় যোগ দিয়ে মেহেদী রুমীকে ফুলে ফুলে সিক্ত করে। কুমারখালী পৌর ১১ টি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে হাজার হাজার জনতা সংবর্ধনায় যোগ দেয়। কুমারখালী থানা বিএনপি আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, জেল জুলুম হুলিয়া জারী করে বর্তমান সরকার তার ফ্যাসিবাদী চরিত্র উন্মোচন করেছে। হত্যা গুম খুনের ঘটনা অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনা সরকার মুখে গনতন্ত্রের কথা বললেও বিরধেী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন নীতি চালাচ্ছে। এ দেশের জনগন এই স্বৈরাচারী সরকার কে টেনে হিচরে গদি থেকে নামাবে। যেখানেই বিএনপি কর্মসূচি গ্রহন করছে সেখানেই এ সরকারের কতিপয় ভুঁইফোর লোকজনকে দিয়ে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে ১৪৪ ধারা জারী করছে। ১৪৪ ধারা জারী করিয়ে আওয়ালীগ লাভবান হতে পারেনি। মাত্র ৩ ঘন্টার নোটিশে ভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মানুষের ঢল প্রমান করে দিয়েছে এই সরকার কে দেশের জনগর আর চায় না। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, জনগনের এ ভালোবাসার ঋণ শোধ দেবার মত নয়। এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন তার সহধর্মীনি কেন্দ্রিয় মহিলা দলের অন্যতম নেত্রী ও জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা অধ্যাপিকা সৈয়দা ফাহিমা রুমী ও জ্যোষ্ঠ পুত্র সৈয়দ ফাহিম আহমেদ রুমী (ব্যারিষ্টার অধ্যায়নরত). কুমারখালী থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.গোলাম মহম্মাদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু. অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, যুগ্ন সম্পাদক এমএ শামীম আরজু, এ্যাড.কুতুবুল আলম নুতুন, মাহমুদুর রহমান আল কাদেরী, খোকসা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামান স্বপন, কুমারখালী পৌর বিএনপির সভাপতি কেএমআলম টমে, থানা বিএনপির সহ সভাপতি এ্যাড.আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, আবুল কাশেম রবি মাষ্টার, ১৮ দলীয় জোট নেতা ও চর সাদিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাগীর আলম বয়েন, কুমারখালী পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ লিটন, সদ্য কারামুক্ত নেতা জেলা বিএনপির ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক যুব নেতা আল আমিন কানাই, সদ্য কারামুক্ত নেতা জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক যুব নেতা মেজবাউর রহমান পিন্টু, জেলা বিএনরি ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, কুমারখালী থানা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সি রশিদুর রহমান, কুমারখালী থানা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক পান্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ, থানা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, থানা যুবদলের সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রিপন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলে যুগ্ন আহবায়ক নুরুল ইসলাম আসাদ, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ, যুগ্ন আহবায়ক সদ্য কারামুক্ত আশরাফুল করিম শাওন, গোলাম হাফিজ পিপুল, কুমারখালী থানা ছাত্রদলের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম সাবু, সদ্যকারামুক্ত নেতা তুহিন, ওসমান, বাগুলাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম সরোয়ার মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আলী, চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যদুবয়রা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজওয়ান আলী, চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস উজ্জামান জাহিদ, চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, নন্দলালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পলাশ, শিলাইদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নওয়াব আলী, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আতিকুজ্জামান আলমগীর, কয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, চর সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নাসির উদ্দিন, সদকী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সর্দার, শহর যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান কুটি, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ আলী, কুষ্টিয়া শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিংকু, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ছাত্র দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাপ্পি, কুমারখালী থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জিলাল, খোকসা থানা যুব দলের সভাপতি মিজানুর রহমান মির্জা, খোকসা থানা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি বাবলু মোল্লা, খোকসা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাসেম আলী, থানা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, সহ-সভাপতি কুতুব হোসেন, জেলা কৃষক দলের নেতা মোকারম হোসেন মোকা প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন