শনিবার, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১৩

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগির পায়তারা

স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ু ট্রাষ্ট ফান্ডের আওতায় কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড আমলা ডিভিশনের অধীন দৌলতপুর-মহিষকুন্ডি প্রতিরক্ষা বাঁধের ২২ কোটি টাকার টেন্ডার একটি চরমপন্থী গ্র“পের সহযোগিতায় ভাগাভাগি করে নেয়ার পায়তারা করছে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমলা এলাকার ক্ষমতাসীন দলের এক প্রভাবশালী টেন্ডারবাজ নেতা। ৭ গ্র“পে বিভক্ত ২২ কোটি টাকার টেন্ডার যাতে শুধুমাত্র আমলা ডিভিশনে সিঙ্গেল ড্রপিং করা হয় এর জন্য চরমপন্থী কানেক্টেড ওই নেতা মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। তিনি এই মিশনে সফল হলে ওই টেন্ডার থেকে বখরা হিসেবে হাতিয়ে নেবেন শতকরা ১৫% হিসেবে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা । তার এই অবৈধ মিশন সফল করার জন্য কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ওবায়দুর রহমান সার্বিক সহযোতিা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,
টেন্ডার ড্রপিং সংক্রান্ত আইন পিপিআর-এর ৯৬ ধারার (১১) উপধারা (খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা আছে বড় কাজের টেন্ডার মাল্টিপেল ড্রপিং ( একাধিক যায়গায় ) করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এর আলোকে আমলা ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তার দৌলতপুর-মহিষকুন্ডি প্রতিরক্ষা বাঁধের ২২ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উর্ধ্বতন র্কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা কালে ওই নেতা চরম বাঁধার সৃষ্টি করেন। শুধুমাত্র আমলা ডিভিশনে টেন্ডার ড্রপিং করার জন্য ওই নেতা চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু বড়কাজ সেহেতু মাল্টিপেল ড্রপিং এর বিকল্প নেই। আমরা সব ঠিকঠাক করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। টেন্ডারবাজদের চাপ সৃষ্টির বিষয়টি তিনি সু-কৌশলে এড়িয়ে যান। এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আলতাফ আলী জানান, যাতে কেউ টেন্ডারবাজি করতে না পারে সে জন্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুর-মহিষকুন্ডি প্রতিরক্ষা বাঁধের ২২ কোটি টাকার টেন্ডার মাল্টিপেল ড্রপিং এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন