ইবিতে সর্বাত্মক হরতাল পালিত

রাশেদুন নবী রাশেদ,ইবি প্রতিনিধি : অবৈধ ট্রাইবুনাল বাতিলের দাবিতে ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদেও মুক্তি দাবীতে ডাকা হরতালের অংশ হিসেবে গতকাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে ইবি শিবিরের নেতা কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে দফায় দফায় লাঠি মিছিল ও সমাবেশে করেছে। সমাবেশে বক্তারা জামায়াত-শিবিরের নেতৃবৃন্দের দ্রুত মুক্তি দাবী করে। গতকাল সকাল সাতটায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক আসাদুল্লাহর নেতৃত্ত্বে সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে দেশব্যাপী ডাকা জামাত-শিবিরেরে অবৈধ ট্রাইবুনাল বাতিলের দাবিতে ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবীতে ডাকা হরতাল সফল করতে প্রথম দফায় বিক্ষোভ করেছে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে শুরু হয় কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখ পাড়া বাজার প্রদক্ষিন করে এবং সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পুনরায় ইবির মেইন গেটে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। হরতালের কারনে বিশ্ববিদ্যায়ের কোন গাড়ী চলাচল না করায় পুরো ক্যাম্পাসে কোন বিভাগে ক্লাশ পরীক্ষা হতে দেখা যায়নি এবং কোন শিক্ষার্থীও ক্যাম্পাসে আসেনি।
এদিকে দুপুর ১২ টায় যুদ্ধাপরাধের মামলায় আটক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলার ও রায়ে যাবজ্জীবন কারাডন্ড রায় ঘোষনার পর দুপুর ১ টায় ইবি শিবিরের নেতা কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ইবি শিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার ও সাধারন সম্পাদক আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে দু’সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে ওই রায় বাতিলের দাবিতে লাঠিসোঁটা নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে দ্বীতিয় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। লঠিসোটা মিছিলটি গেট থেকে শুরু কওে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক হয়ে বিশ্ববিধ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শেখ পাড়া বাজার প্রদক্ষিন করে পুনরায় ইবির মেইন গেটে এসে বিক্ষুব্ধু নেতাকর্মীরা সমাবেশে মিলিত হয়। ইবি শিবিরের সাধারন সম্পাদক আসাদুল্লাহর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইবি শিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার তিনি বলেন- আমাদেও নেতাকর্মীরা ততক্ষন ঘরে ফিরে যাবে না যতক্ষন না এই খুনি হাসিনা সরকার আমাদের নেতা কর্মীদের ওই অবৈধ সাজানো ট্রাইবুাল থেকে মুক্তি না দিবে। সরকার যুদ্ধাপরাধ নামক মামলায় জামায়াত নেতাদের জরিয়ে জাতিকে ধোকা দেবার জন্য যে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে ছাত্রশিবির তাদের ওই ঘৃনিত সাজানো নাটক এই বাংলার জমিনে কখনো মঞ্ছস্থ হতে দিবেনা।এছাড়া তিনি আরও বলেন সরকার যদি আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় মুলক বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে ও প্রহসনমুলক রায় দিচ্ছে তা যদি বাতিল না করে তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে, জান দিয়ে, পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে কারাগারের লৌহ কপাট ভেঙ্গে নেতৃবৃন্দদের বের করে আনার ব্যবস্থা করবে। সাড়াদেশ হরতাল দিয়ে অচল করে দেয়া হবে আর হরতালে যদি পুলিশ গুলি চালায় তবে পুলিশের গুলি শেষ হয়ে যাবে কিন্তু শিবির কর্মীদের শরীরে এক ফোটা রক্ত বিন্দু থাকতে কখনো পিছপা হবেনা।