রবিবার, এপ্রিল ০৭, ২০১৩

খোকসায় জানিপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিশাল সমাবেশ


বর্তমান সরকার দেশকে বিভক্ত করে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী

আব্দুম মুনিব/মনিরুল ইসলাম মনি : খোকসার জানিপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে একতারপুর সার্বজনীন পূজা মন্দির প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জমকালো মোটর সাইকেল শোডাউন ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরুতেই অনুষ্ঠানের বৈচিত্রতা লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিয়নের কর্মীদের সরব উপস্থিতি ও তাদের চাঞ্চলতা আরো পরিপূর্ণতা করেছে। হিন্দু অধ্যুষিত ইউনিয়নটিতে সমাবেশে
হিন্দ সম্প্রদায়ের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়। সমাবেশে শুরুতে বিএনপির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণে প্রায় ৩শ মোটর সাইকেলের এক শোভাযাত্রা প্রধান অতিথির সাথে আসেন। জানিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিজাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করে গৃহযদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদিয়ক সম্প্রতির দেশ। এ দেশ মুসলমানের, বাংলাদেশ হিন্দুর, বাংলাদেশ বৌদ্ধ’র, বাংলাদেশ খ্রিষ্টানের কিন্তু বাংলাদেশ কোন নাস্তিকের নয়। আজকে যারা কথিত ব্লগার পরিচয়ে ইসলাম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে জড়িয়ে নানা অশালীন কথা লিখছেন। তাদেরকে সরকার রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশ কারোর পৈত্রিক সম্মত্তি নয়। নাস্তিকদের এই দেশে ঠাঁই নেই। নাস্তিকরা এ দেশের জঙ্গীবাদ কায়েম করতে চায়। আমরা এ দেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান এক হয়ে চলতে চাই। কোন ধর্মের প্রতিই কোন অবমাননা বরদাশত করা হবে না। তিনি খোকসায় মন্দির এবং সম্প্রতি কুমারখালীর দয়রামপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিএনপি মন্দির ভাঙ্গে না, বিএনপি মসজিদ ভাঙ্গে না, বিএনপি রামুতে আগুন দেয় না, বিএনপি নামাজরত মুসল্লীদের উপর হামলা করে না, বিএনপি মূর্তি ভাঙ্গে না, বিএনপি এগুলো গড়তে জানে। সবাইকে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলার আহক্ষান জানিয়ে বলেন, আমাদের সবাইকে এক হয়ে চলতে হবে। আমাদের সকল কর্মসূচীই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবো। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আওয়ামী সরকার এক নজির স্থাপন করেছে। তারা সরকারিভাবে হরতাল আহক্ষান করেছে। যা সত্যিই হাস্যকর। যেখানে তাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, যারা হরতাল দেয় তারা দেশ বিরোধী। সেখানে তারাই হরতাল ডেকে তারাই প্রমাণ করলো আওয়ামী লীগ সরকার দেশবিরোধী সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন আর মরণখেলাকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার নিরীহ মানুষকে রাজপথে খুন করছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ বাহিনী দিয়ে। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, আপনারা সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করেন নয়তো জনগণই আপনাদের গদি ছাড়তে বাধ্য করবে। আপনারা রাজপথে সাধারণ জনগণ হত্যা বন্ধ করুন। এর পরিণাম খুবই ভয়াবহ। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করবেন না। ভুলে যাবেন না জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস্য। জানিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জানিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনি মোহন বিশ্বাস যদু’র পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খোকসা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিস উজ জামান স্বপন, সিনিয়র সহসভাপতি এ জেড জি রশিদ রেজা বাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফ্ফর উজ-জামান মিন্টু, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহক্ষায়ক এ্যাড. শামীম-উল-হাসান অপু, জেলা বিএনপির ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা শরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন, জয়ন্তীহাজরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, শোমসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান কাজল, শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুর রহমান, ওসমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব আলী সরকার। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গোপগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসউদ আহসার শিবলী, বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, গোপগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফি মোল্লা, ওসমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জায়েদ সান্টু, জানিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহাদেব বিশ্বাস মোহন, বিএনপি নেতা মনোজ কুমার বিশ্বাস, মিলন বিশ্বাস, রিপন বিশ্বাস, ইউনিয়ন যুবদলের আহক্ষায়ক শামীম উদ্দিন, যুবদল নেতা সুধাংশু বিশ্বাস, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি কাইয়ুম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ লায়ন, থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক কাইসার উল আলম সৈয়দ, থানা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজা, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন টিটু, জাহাঙ্গীর আলম, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাবলু মোল্লা, সেক্রেটারী রোকনুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক রিপন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাশেম আলী, সাধারণ সম্পাদক রবিন রায়হান জসীম, থানা ছাত্রদলের সভাপতি আলীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ইকরাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ-আল-মামুন, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, থানা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক মতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, কলেজ ছাত্র দলের সভাপতি জাফর, কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা, শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য জিল্লুর রহমান জনি, শফিকুর রহমান শফিক, মিজানুর রহমান খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আরিফ প্রমুখ। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন