ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগে
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য ও দুর্বল একাডেমিক রেজাল্টধারীদের শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের
প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বিভাগের ১০জন শিক্ষক। বুধবার দুপুর ২টায় মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের
শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে অযোগ্য ও দুর্বল রেজাল্টধারীদের
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনী বোর্ডের নতুন নিয়োগের সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।লিখিত বক্তব্যে বাংলা বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাবিবুর
রহমান বলেন- বিভাগের ৩ জন অস্থায়ী প্রভাষকের চাকরি স্থায়ী করার জন্য ২০১২
সালের ২৭
ফেব্রুয়ারী প্লানিং কমিটির সভায় সুপারিশ করা হয়
। সুপারিশ অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও আবেদন
যাচাই বাছাই শেষে চলতি বছরের ৯ জুলাই ৩ জন শিক্ষককে স্থায়ী করার জন্য নির্বাচনী বোর্ড
অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিভাগের
প্লানিং কমিটির সুপারিশ ছাড়াই নির্বাচনী বোর্ড অস্থায়ীদের স্থায়ী করার পাশাপাশি অতিরিক্ত
৪ জন প্রার্থীকে প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। বিভাগে কোন শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের
স্ট্যাটিউট ও প্লানিং কমিটির সুপারিশ লঙ্ঘন করে এই সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষা ছুটিতে থাকা
এক জন সহকারী অধ্যাপকের বিপরীতেও নতুন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলা বিভাগে
নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া নিয়োগের
ক্ষেত্রে ৪টি প্রথম শ্রেনী প্রাপ্ত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অযোগ্য ও দুর্বল রেজাল্টধারীদের
সুপারিশ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক
ড. সরওয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার দাস, মোঃ ইয়াসিন আলী, গাজী মোঃ মাহবুব মুর্শিদ, ড. রবিউল হোসেন, মনজুর রহমান ও তপন কুমার
রায় উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের
পূর্বে বাংলা বিভাগের ওই ১০ জন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের নতুন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ বাতিলের
দাবি জানিয়ে ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।উল্লেখ্য, বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশ আগামী
সিন্ডিকেট সভায় পাশের অপেক্ষায় আছে। সিন্ডিকেটের সভার তারিখ এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত না হলেও চলতি মাসের মধ্যে হওয়ার
কথা রয়েছে।এব্যাপারে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রহমান হাবিব
বলেন-‘নির্বাচনী
বোর্ড কি সুপারিশ করেছে তা একান্তই গোপনীয় ব্যাপার। সিন্ডিকেটের সভার আগে এটি কেউ জানার কথা নয়। তার পরও কেউ যদি এ ব্যাপারে
কিছু বলে থাকে তা হলে সে ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই।’ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকার স্মারকলিপি প্রাপ্তির কথা
স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন