শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৩

৪র্থ দফায় ছোঁড়া এসিডে স্কুলছাত্রী ঝলছে গেছে : মামলা নেয়নি পুলিশ

ওসি বলছেন, এটি সাজানো নাটক!
মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা: কুষ্টিয়ার খোকসার ৪র্থ বারের মত স্কুলছাত্রী কাকলী খাতুন (১৮) ও তার স্বামী পাঞ্জুকে এসিড নিক্ষেপ করে আহত করেছে দূর্বৃত্তরা। ও নবদম্পতির উপর ৪র্থ বারের মত তার দাদীকে এসিড নিক্ষেপ করেছে দূর্বৃত্তরা। স্কুলছাত্রীর মুখ ঝলছে গেলেও ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলছেন এটি একটি নাটক।স্কুলছাত্রীর বাবা কামিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এলাকার কিছু উৎশৃঙ্খল যুবকের তাড়নায় আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য হই। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ তারিখে মঙ্গলবার রাতে আমার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করলে ওর শরীরের আংশিক পুড়ে যায়। মেয়ের নিরাপত্তার জন্য ওর দাদার বাড়িতে রেখে আসি। এ ঘটনায় একই গ্রামের পরদিন বুধবার গভীর রাতে দাদা আব্দুর রউফ শেখের বাড়িতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে এলোপাথারিভা
বে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে আমার মা হালিমা খাতুন (৫৫) মারাত্বক ভাবে আহত হয়। ঐ রাতেই তাকে খোকসা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। বিভিন্ন সময় মামলা না করার জন্য আমার উপর হুমকি আসে। এর এক সপ্তাহ পরে ৩য় দফায় মেয়ের শ্বসুর বাড়ি বরইচারা গ্রামে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় মেয়ের গায়ে এসিড লাগেনি। তবে গতকাল শুক্রবার ছোঁড়া এসিডে আমার মেয়ের শরীরের অনেকখানি পুড়ে যায়। মুখ ঝলছে যায়। প্রথমে খোকসা হাসপাতালে আনলে অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কাকলী ও তার স্বামী পাঞ্জুকে। আরো অবনতি ঘটলে ব্র্যাকের সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়া হয়েছে। এর পরেও খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেছেন, এটি একটি নাটক। তিনি বলেন, আমরা মামলা নিয়েছি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এটি সাজানো নাটক। কারণ এসিডে মুখ পুড়লেও তাদের বিছানার কাপড়চোপড় পুড়েনি। তবে তিনি মামলা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে পরিস্কার করে কিছু বলেননি।এ ঘটনায় কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার জেলার এএসপি সার্কেল (সদর) লিমন রায়, খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার স্কুলছাত্রীর শ্বসুর বাড়িতে পরিদর্শন করতে গিয়ে আশ্বাস দিয়ে আসলেও কোন ব্যবস্থায় তারা গ্রহণ করেননি। তা আশ্বাসই থেকে গেছে। এদিকে থানায় অদৃশ্য কারণে মামলা নেয়নি পুলিশ। মেয়ের এসিডদগ্ধ দাদী হালিমা খাতুন বলেন, আমি তিনজনকে চিনতে পেরেছি। তারা হলো একই গ্রামের হাবিলের ছেলে হাফিজ (২১), জলাইয়ের ছেলে রাজীব (১৮), শাহাজাহানের ছেলে জুয়েল (২০)।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন