রবিবার, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৩

ইবি ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের হামলা ॥ চতুর্মূখী সংঘর্ষ

মুহুর্মুহু গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ॥ আহত ৪০
ষ্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে প্রায় ৪০জন আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরতর আহতদের কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিবেশ ঠিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে ক্যাম্পাসের বাসে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীর সাথে ছাত্রদল কর্মী সোহাগ ও রনির বাকবিতন্ড হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রদল সোহাগ ও রনি ক্লাশ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডার তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় সোহগের হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় পুনরায় একত্রিত হয়ে অ
নুষদের সামনে তাদের দলীয় টেন্ট অবস্থান নেয়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্র্র্মীরা তাদের টেন্ট থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় করলে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার সজিব ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে উভয় পক্ষর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় ও গুলি,ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ছাত্রশিবির তাদের টেন্ট হতে শিবিরের নেতাকর্মীরা অনুষদের নিচে আসতে থাকলে ছাত্রলীগের নেতা কমীরা তাদের উপরও হামলা করে। পওে সেখান থেকে শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাদ্দাম হোসেন হলের উত্তর পাশ্বে অবস্থান নেয় এবং ছাত্রলীগ ও পুলিশ টিএসসিসির সামনে খেলার মাঠে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশ আবাসিক সাদ্দাম হোসেন হলের দিকে মুহুর্মুহ গুলি করতে থাকে। এমসয় আবাসিক হলের শিবির নেতা কর্মীরা ছাত্রদলের সাথে একত্রিত হয়ে ছাত্রলীগকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং কিছু নেতাকর্মী প্রশাসন ভবনে অবস্থান নেয়। এতে পুরো ক্যাম্পাসে চতুর্মূখী সংঘর্ষেও রুপ ধারণ করে। ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে চলাকালে সহকারী প্রক্টর বাংলা বিভাগের শিক্ষক বাকী বিল্লাহ বিকুল ছাত্রলীগ ক্যাডারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। পরে ছাত্রদল ও শিবির প্রশাসন ভবনের সামনে ৫টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। কয়েক ঘন্টা ব্যাপি এই সংর্ঘষে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহাগ, আনিস, জাহাঙ্গীর সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহেদ, অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সৌরভ, রোরহান, রাসেল, হানিফ, রাজু, রইচ, নাজমুল, ইলিয়াস, রুবেল,ও ছাত্রলীগের সাবেক অস্ত্রধারি ক্যাডার জিয়া (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করে) ও বহিরাগত কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৪০জন আহত আহত হয়। গুরতর আহতদের কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ সম্পর্কে ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছি। এর পরেও অনাকাঙ্খিত পরিবেশ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের বাহিরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ঘটে। আমরা যথাসময়ে প্ররিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন হবে। জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম নূরি বলেন, বর্তমান প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ বার বার শিক্ষকসহ অন্যসংগঠনের উপর হামলা করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘিœত করছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও সকল হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানায়।ইবি ছাত্রদল সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন