রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০১৩

খোকসায় আনসার কর্মকর্তা সালমা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

দূর্গাপূজায় মাথাপিছু ৩০০ টাকা হারে আনসার নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ডবে আনছার সদস্যরা অনুপস্থিত

মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করতে আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে খোকসা উপজেলা আনসার ও ভিডিবি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা: সালমা খাতুনের বিরুদ্ধে পাহাড়সম নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৬ টি পূজা মন্ডবে ৩০০ নারী-পুরুষ আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা হয়। এর মাঝে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে গত ৭ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানের নির্দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ২৯০ জনকে বাছাই করে। কিন্তুু আনসার কর্মকর্তা সালমা খাতুন এসব কিছু না তোয়াক্কা করে তার মন মতো বাছাইকৃত সদস্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদেরকে ২০০/৩০০ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার চর-বিহাড়ীয়া পূজা মন্দিরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৬ জন থাকার কথা থাকলেও দেখা মিলেছে ২ জনের। আর বাকি দুই সদস্য নারী হওয়ায় তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। আর বাকি দুইজনকে আদেও পাওয়া যায়নি। যারা উপস্থিত ছিলো তাদের গায়ে নির্দিষ্ট পোষাক ছিলো না। এরকম চিত্র শুধু চর-বিহাড়িয়া মন্দিরেই নয় বাকি অনেক মন্দিরগুলোতেও একই অবস্থা। এছাড়াও খোকসার এ প্রান্তের মানুষের দায়িত্ব দিয়েছে অন্য প্রান্তে। নিয়ম অনুযায়ী নিজ এলাকাতে দায়িত্ব দেওয়া। ক্যালকুলেশন করলে দেখা যায়, ১৫ শত টাকার মধ্যে ৫০০ টাকা যাতায়াত বাবদ ও নিয়োগ বাবদ ৩০০ টাকা চলে যায়। আর বাকি থাকে ৭০০ টাকা। এনিয়ে ক্ষোভ প্র্রকাশ করেছেন অনেক আনসার সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য বলেন, এই কর্মকর্তা আমাদেরকে শোষণ করছে। আমরা কার কাছে বিচার দেবো।
এ ব্যাপারে খোকসা উপজেলা আনসার ও ভিডিবি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোছা: সালমা খাতুন বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন