বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০১৩

ভেড়ামারায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী আব্দুস সাত্তার

 মনির উদ্দিন মনির, ভেড়ামারা : শীতকালীন আগাম সবজি কপি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার নতুনহাট এলাকার কৃষক আব্দুস সাত্তার। পরিশ্রম আর ব্যাপক পরিচর্চার ফলে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম সবজি আবাদ করার ফলে বাজারে কপির চাহিদাও বেশী। তাই দামও পাচ্ছেন বেশ চড়া। মাত্র আড়াই বিঘা জমিতে কপি আবাদ করে ৭০ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১ লক্ষ টাকা লাভ হবে তার। নতুন সবজি চাষী আব্দুস সাত্তার এবছরই প্রথম শীতকালীন সবজি পাতা ও ফুলকপি আবাদ করেছেন। আর এ ক্ষেত্রে তিনি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ৩০ হাজার টাকার ঋন নিয়ে নিজস্ব আড়াই বিঘা জমিতে কপি আবাদ করেন। মারবেল জাতের ফুলকপি দেড় বিঘা এবং পাতা কপি ১ বিঘা। আবাদের জন্য পরামর্শও নিয়েছেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকেই। সফলতাও পেয়েছেন। মাত্র ৫০ দিনের ব্যবধানে তার আবাদকৃত কপি এলাকার সেরা। এখনই পাইকারী সবজি ক্রেতারা তার জমিতে হুমড়ি খেয়ে
পড়েছেন এক যোগে সব কপি ক্রয় করার জন্য। দাম ও বলছেন দ্বিগুন।সফল কৃষক আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, কপি আবাদে তিনি একদমই নতুন। এ বছরই প্রথম তিনি দেড় বিঘা জমিতে ফুলকপি এবং ১ বিঘা জমিতে পাতাকপি আবাদ করেছেন। অর্থনেতিক যোগান নিয়েছেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে। তিনি নওদা ক্ষেমিরদিয়াড় আংশিক গ্রাম উন্নয়ন দলের সদস্য। পরামর্শও দিয়েছেন প্রকল্প’র উপজেলা সম্বন্নয়কারী তৌহিদুল ইসলাম। সফলতাও পেয়েছি। তিনি জানান, দেড়বিঘা জমিতে ফুলকপি এবং ১ বিঘা জমিতে পাতাকপি আবাদ করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মাঠের ফসল’র যা অবস্থা এখনই তা বিক্রি করলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, দেড়বিঘা ফুলকপিতে ৪৭টি বেডে ৮ হাজার ৮’শ ৩৫টি গাছ রয়েছে। যা অনায়সেই ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। অন্যদিকে ১ বিঘা পাতাকপির জমিতে রয়েছে ৭ হাজার গাছ। যা বিক্রি করে আয় হবে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র ভেড়ামারা উপজেলা সম্বন্নয়কারী তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দৃশ্যমান ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য ঋন সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। আব্দুস সাত্তার পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করেছে। সে এখন স্বাবলম্বী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন