বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২০, ২০১৪

খোকসায় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন



স্টাফ রিপোর্টার :  কুষ্টিয়ার খোকসায় সচেতন নাগরিক সমাজের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলীসহ ৯০ জন বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বিএনপি।বুধবার দুপুরে থানা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফফর-উজ-জামান মিন্টু। তিনি তার লিখিত বক্তব্যের বরাত দিয়ে বলেন, খোকসা থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব সৈয়দ আমজাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিস-উজ-জামান স্বপন, খোকসা পৌর মেয়র আনোয়ার আহম্মেদ খান তাতারী, পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খানসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৯০ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সদর উদ্দিন খানের ছোট ভাই রহিম খান। মূলত এই মামলা দেওয়া হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে রাখার জন্য।এ ঘটনার পরে গত ১৭/২/১৪ ইং তাং আব্দুর রহিম খান স্বাক্ষরিত খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলীসহ ৯০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করে এবং সেখানে আরো ৩০০/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়ছে। মামলা নং ২। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। কারণ এ মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সৈয়দ আমজাদ আলী সাহেবকে নির্বাচনী মাঠে হয়রানি করার একটি অপচেষ্টামাত্র। পরিশেষে তিনি মামলা প্রত্যাহারসহ সচেতন নাগরিক সমাজ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৈয়দ আমজাদ আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী মাঠে তাকে হয়রানি বন্ধে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।  এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির
সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনসী এজেডজি রশিদ রেজা বাজু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক তৈয়ব আলী সরকার, সদস্য আমিন মেম্বর।সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো: গত ১১/২/১৪ ইং তাং শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও শোমসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মনিরুজ্জামান কাজল সাহেবকে খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মোঃ সদর উদ্দিন খান এর ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রহিম খান চেয়ারম্যান কাজলকে অনুমান বিকাল ৫.০০ টার দিকে মারধর করে জোরপূর্বক বাজার থেকে অন্ধকারের দিক হীন উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন চেয়ারম্যান চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনার পর খোকসা থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব সৈয়দ আমজাদ আলী, সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনিস-উজ-জামান স্বপন, খোকসা পৌর মেয়র আনোয়ার আহম্মেদ খান তাতারী, পৌর বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান কাজল সাহেবকে দেখতে যান সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে। এই সমস্ত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকাবস্থায় আব্দুর রহিম খান এবং তার লোকজন অতর্কিত উপস্থিত নেতাকর্মীসহ উপস্থিতদের উপর লাঠি-সোটা, দা, বল্লম ও অন্যান্য মারাত্বক অস্ত্রসহ নিলর্জ হামলা করে। আক্রমনের সময় কাজল চেয়ারম্যানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়িতে হামলা করে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাবসহ প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা বিষয়াদির অবহিত আছেন।
প্রিয় সাংবাদিকভাইয়েরা,
এ ঘটনার পরে গত ১৭/২/১৪ ইং তাং আব্দুর রহিম খান স্বাক্ষরিত খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব সৈয়দ আমজাদ আলীসহ ৯০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করে এবং সেখানে আরো ৩০০/৩৫০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। কারণ এ মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সৈয়দ আমজাদ আলী সাহেবকে নির্বাচনী মাঠে হয়রানি করার একটি অপচেষ্টামাত্র।
পরিশেষে এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ সচেতন নাগরিক সমাজ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব সৈয়দ আমজাদ আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী মাঠে তাকে হয়রানি বন্ধে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন