বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০, ২০১৪

কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির আশঙ্কা বিএনপি প্রার্থী রুনা’র

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন আজ

শরীফুল ইসলাম, কুমারখালী ॥ উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল ৮টা বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে ৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩৭টি বুথে এ ভোট গ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারন ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৩জন প্রার্থী। এরা হলেন জগনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিহত চেয়ারম্যান মুন্সি রশিদুর রহমানের সহধর্মীনি ও বিএনপি মনোনিত প্রার্থী উম্মে সুমাইয়া রুনা (তালা প্রতীক) আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী আব্দুল্লা আল বাদশা (আনারস প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে খন্দকার আতিকুল ইসলাম (দোয়াত কলম প্রতীক) নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তিন জন প্রার্থী হলে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর মধ্যে। ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৪শ ৭৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭হাজার ৪শ ৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৯শ ৯৬ জন।এদিকে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী উম্মে সুমাইয়া রুনা। তিনি বলেন নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে পারে নি। প্রতিপক্ষের লোকজন তার কর্মি ও সমর্থকের হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে। ভোটারদের বাড়িতে যেতে দেয়নি তারা। এ জন্য নির্বাচন কতটা
নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন বলেও তিনি জানান। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপি হওয়ার সম্ভাপনা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্মে সুমাইয়া রুনা’র এমন আশঙ্কার কথা সম্পন্ন ভুল বলে মন্তব্য করেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লা আল বাদশা। তিনি বলেন নির্বাচনে কোন প্রকার ভোট কারচুপি বা ভোট কেন্দ্র দখলের কোন আশঙ্কা নেই। নির্বাচন অবাদ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন ও রির্টানিং অফিসার আবু আনছার বলেন, নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। পোলিং অফিসার ও নির্বাচনী সরঞ্জামন প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাঠানো হয়েছে। যে কোন প্রকার নাশকাতা প্রতিহত করতে কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ভোট কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান পুলিশের টহল অব্যহত থাকবে এবং ভ্রাম্যমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে।কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে সর্বচ্চ নিরপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোন প্রকার নামকতা প্রতিহত করতে পুলিশ তৎপর থাকবে বলেও তিনি জানান।উল্লেখ্য গত ৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জেলা কমিটির সেক্রেটারী ও কুমারখালী থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি রশিদুর রহমান নিহত হয়। এর পর ইউনিয়ন পরিষদটিতে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন