রবিবার, মার্চ ৩০, ২০১৪

দৌলতপুরে নিষিদ্ধ গাইড বই ও গ্রামার কিনতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা

পড়ানো হয়না সরকারী গ্রামার ও ব্যাকরণ!

দৌলতপুর সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সকল মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা সমুহে নিষিদ্ধ গাইড বই এবং বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজী গ্রামার কিনতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র/ছাত্রীরা। সরকারী নির্দেশে বিভিন্ন নামী-বেনামী প্রকাশনীর গাইড বই ও ইংরেজী গ্রামার এবং বাংলা ব্যাকরণ পড়ানো স¤পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলেও দৌলতপুর উপজেলার মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা সমুহের প্রধান শিক্ষকগণ এসকল নামী-বেনামী প্রকাশনীর নিকট থেকে মোটা অংকের সেলামী নিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের এসব বই কিনতে বাধ্য করছে। তাছাড়া সরকারীভাবে দেয়া ইংরেজী গ্রামার এবং বাংলা ব্যাকরণ ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ানো হয়না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার ৯৮ টি মাধ্যমিক নিম্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা সমুহের জন্য সংশি¬ষ্ট প্রকাশনী গুলো পাঠ্যক্রম-২০১৪ তৈরী করে বিদ্যালয় গুলোতে সরবরাহ করেছে। সেই পাঠ্যক্রম-২০১৪ অনুসারে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন— ইংরেজী গ্রামার ‘জেনারেল কমুউনিকেটিভ ইংলিশ গ্রামার ট্রানশ্লে¬শন এন্ড কম্পোজিশন উইথ মডেল কোয়েশ্চেন লেখক জহিরুল ইসলাম ও সঞ্জীব কুমার। বাংলা ব্যাকরণ প্রমিত, ভাষারীতি, ভাষা প্রকাশ ও ভাষা শিক্ষা ব্যাকরণ ও নির্মিতি এবং মীনাক্ষী সাহা ও বিজয়া সরকার রচিত বাণীধারা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি , এম এ মতিনের লার্নার্স কমিউনেকেটিভ ইংলিশ গ্রামার ট্রানশ্লেশন এন্ড কম্পোজিশন উইথ মডেল কোয়েশ্চেন, ইসাহাক আলীর রচনায় জননী বাংলা ব্যকারণ ও নির্মিতি, ডিসকভারী কমিউনেকেটিভ ইংলিশ গ্রামার ট্রানশ্লেশন
এন্ড কম্পোজিশন উইথ মডেল কোয়েশ্চেন এবং গাইড হিসাবে ‘সংসদ“ একের ভিতর সব‘ নামের খুবই নিম্ন মানের বই ছাত্র/ছাত্রীদের কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দৌলতপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,আল¬ারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাছেরদিয়াড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়রামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বিডিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোসেনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর ও ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খাস মথুরাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডিজিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাকুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়গাংদিয়া মঅধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়ালগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও খলিশাকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব নিম্ন মানের বই পড়ানোর হচ্ছে জেনে অভিবাবক ও সচেতন মহল বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশি¬ষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, সরকারের দেয়া গ্রামার বই পড়ে ছাত্ররা কিছু শিখতে পারছেনা বিধায় এসব গ্রামার ও ব্যাকরণ পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া এসব গ্রামার ও ব্যাকরণের আলোকে বিদ্যালগুলো ২০১৪ সালে সিলেবাস তৈরী করে ছাত্র/ছাত্রীদেও সরবরাহ করেছে। কুষ্টিয়ার একজন স্বনামধন্য পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, স্কুলের হেড মাষ্টাররা ঐ সকল প্রকাশনীর কাছ থেকে ৫০/৬০ হাজার করে টাকা নিয়ে এসকল নিম্নমানের বই ছাত্র/ছাত্রীদের কিনতে বাধ্য করছেন। ফলে, ছাত্র/ছাত্রীরা এ সকল বই পড়ে প্রতিযোগীতামূলক শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, কোনক্রমেই বোর্ড বইয়ের বাইরে কোন গ্রামার, ব্যাকরণ বা গাইড বই পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা বা পড়ানো যাবেনা। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে সংশি¬ষ্ট প্রধান শিক্ষকদের কঠোর ভাবে জানানো হলেও কি কারনে তারা বিষয়টি উপেক্ষা করেছেন তার জানা নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন