রবিবার, মার্চ ৩০, ২০১৪

ইবি ছাত্রদলের ধর্মঘটে ৭টি বাস ভাংচুর ॥ অচল ক্যাম্পাস ॥ ধর্মঘট স্থগিত

রাশেদুন নবী রাশেদ ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ডাকা ধর্মঘটের ৭টি গাড়ী ভাংচুর করেছে নেতাকর্মীরা। যথা সময়ে ক্যাম্পাসের গাড়ী না আসায় দু’একটি বিভাগ ছাড়া অধিকাংশ বিভাগেই হয়নি ক্লাস পরীক্ষা। অচল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। দিনভর নেতাকর্মীদের সাথে প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করে। বৈঠকে প্রশাসন এই সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবী মানার আশ্বাস দিলে ধর্মঘট স্থগিত করে। ইবি ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক শাহেদ সাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গত ২৯ জানুয়ারি এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুক্তাকিনকে ১০ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের মুক্তির দাবিতে কয়েক দফায় ইবি শাখা ছাত্রদল ধর্মঘটের ডাক দেয়। তিন তিন বার ধর্মঘটের ডাক দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় চতুর্থদফায় গতকাল শনিবার থেকে আবার তারা লাগাতার ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের প্রথম দিনে গতকাল শনিবার ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বেসরকারী দুটি বাস (জনি, ঝিনাইদহ- জ ১১-০০-১২ ও অরন্,া ঢাকা মেট্রো-১৪০৫৮৪) ঝিনাইদহ শহরে যাওয়ার পথে গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌছালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বাস দুটির সামনের ও পিছনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এছাড়া ঝিনাইদহ শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের নিকটে আরও একটি বাসে (রাজ মটরস্, ঝিনাইদহ-ব ১১-০০০৬) ভাংচুর চালায় ছাত্রদল কর্মীরা। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব দুটি বাসে ভাংচুর চালায় তারা। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শনিবার দিনভর ছাত্রদল ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতাদের সাথে দফায় দফায় মিটিং করে আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে ছাত্রদলের আটকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও সোমবারের মধ্যে ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে 
ধর্মঘট স্থগিত করে ছাত্রদল। দলটির দপ্তর সম্পাদক শাহেদ আহ¤মদ সাক্ষরিত পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়। ফলে আজ রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলবে। ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, আগমী এক সপ্তাহের মধ্যে‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আটককৃত সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তিএবং আগামীকাল সোমবারের মধ্যে ক্যাম্পাসে সকল রাজনৈতিক সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার নিশ্চয়তা দিলে সাময়িক ভাবে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি। এই শর্ত বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ হলে যথারীতি আবারো লাগাতার ধর্মঘট চলবে।’  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসাইন চারটি গাড়ি ভাংচুরের কথা স্বীকার করে বলেন,‘ছাত্রদল লাগাতার ধর্মঘট ডেকেছিল। আমরা তাদের নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে আইনি সহায়তার আস্বাস দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে আজ (রোববার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক ভাবে চলবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন