রবিবার, মার্চ ৩০, ২০১৪

শহরের আড়–য়াপাড়ায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা


 ষ্টাফ রিপোটার : কুষ্টিয়া শহরে অর্পা রানী (৮) নামে এক শিশুকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আড়–য়াপাড়ার দত্তপাড়া এলাকার অর্পার পাশের বাড়ির পরিত্যাক্ত কুপের পাশ থেকে তার মুখ ও হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্বার করেছে। নিহত অর্পা স্থানীয় শহীদ দিদার কিন্টারগার্ডেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ও দত্তপাড়ার বাসিন্দা স্বপন পালের মেয়ে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে অর্পা নিখোঁজ হয়। এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অর্পার পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া পরিত্যক্ত কুপের পাশে তার মুখ ও হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পেলে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়দের ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডল থানার এসআই মনির জানান, ধারনা করা হচ্ছে অর্পাকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, শিশুটি নিখোঁজের পর পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া তপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তপন এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে ওসি জানান। উল্লেখ্য, শহরের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী স্বপন বেশ কয়েক বছর ধরে একমাত্র সন্তান অর্পা রানি ও স্ত্রীকে নিয়ে আড়–য়াপারার দত্তপাড়ার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। এদিকে অর্পা রানী নিখোজের পর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিংসহ ব্যাপক খোজাখুজি করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় অর্পা রানীর লাশ উদ্ধারের পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সাথে দোষীদের দৃষ্টান্টমূলক শাস্তি দাবী করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন