শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০১৪

গাংনীর পল্লীতে গৃহবধুর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার।স্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

মেহেপুরের গাংনী উপজেলার পীরতলা গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অবস্থায় লাশের পরিচয় সনাক্ত করা না গেলেও পরে লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত গৃহবধূর নাম তহমিনা বেগম। সে গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ২য় স্ত্রী। স্বামী ও তার প্রথম স্ত্রী মিলে তহমিনাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারণা করেছে পুলিশ। তেকালা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ রাসেল আহাম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গেলে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে একটি বিবস্ত্র লাশ দেখতে পায় এ সময় স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনা স্থলে গিয়ে পিছমোড়া দিয়ে দু হাত বাধা বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে লাশের পরিচয় জানা যায়নি যে কারনে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে মর্গে পাঠানো হয়। পরে তার পরিচয়
মেলে। স্থানীয়রা জানায়, পীরতলা গ্রামের আলতাব হোসেন ৮/১০ বছর আগে তহমিনা(৩৭)কে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করে। কিন্তুু আলতাব হোসেন তাকে ভাতকাপড় না দেয়ায় তহমিনা ভিক্ষা করে সংসার চালাতো। আলতাব হোসেন ও তার প্রথম ¯ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত বুধবারেও তাদের সাথে ঝগড়া হয়। এর সুত্র ধরেই সে খুন হতে পারে বলে স্থানীয় ও পুলিশ জানায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন