রবিবার, এপ্রিল ১৩, ২০১৪

এ্যাড.আব্দুল আওয়ালের দাফন সম্পন্ন ॥ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাবেক এমপির বিদায়


ষ্টাফ রিপোটার : কুমারখালী-খোকসা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. আব্দুল আওয়াল এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বাদ আছর পান্টি হাই স্কুল মাঠে ২য় নামাজে জানাযা শেষে পান্টি গোরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ক-খোকসার সাবেক সংসদ সদস্যর জানাযায় অংশ নিতে এবং শেষ বারের মত দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ হাজির হন নামাজে জানাযা স্থলে। দল মত নির্বিশেষে হাজির জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তী। জানাযা পূর্বে এ্যাড. আব্দুল আওয়াল এর স্বৃতি চারন করে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুমারখালী-খোকসা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহিদ হোসেন জাফর, কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি জয়নাল আবেদীন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিয়া এ্যাড.মিয়া মোহাম্মাদ রেজাউল হক, কুমারখালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদদক এ্যাড.কুতুবুল আলম নতুন, সহ সভাপতি এ্যাড.আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, কুমারখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হুসাইন, কুমারখালি পৌর মেয়র সামসুজ্জামান অরুন, কুমারখালি সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম আনসার প্রামানিক, পান্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, কুমারখালী থানা যুবদলের সভাপতি আল কামাল মোস্তফা, থানা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুল ইসলাম আসাদ, জেলা কৃষকদল নেতা মোকারম হোসেন মোকা, জেলা যুবদল নেতা খন্দকার সামসুজ্জোহা লাল্টু প্রমুখ। উল্লেখ্য, এ্যাড. আব্দুল আওয়াল মিয়া দীর্ঘদিন যাবত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন।

গত শুক্রবার তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া ৪ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদেন এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। বর্তমানে তিনি গণফোরামের কেন্দ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন