বৃহস্পতিবার, মে ২৯, ২০১৪

তদন্ত কমিটির গণশুনানী

অবশেষে রাহুমুক্ত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত

হাওয়া ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত থেকে বিচার বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবার ও জেলার সচেতন মহলের আন্দোলনের মুখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিরাজমান পরিস্থিতির উত্তোরণে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়নে তদন্ত কমিটির কর্মকর্তা যশোর’র সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার এর উপস্থিতিতে এই গণশুনানী করা হয়। এসময় সেখানে বিচার বঞ্চিত শতাধিক ভুক্তভোগীসহ জেলা আইনজীবি সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক ও পিপি নুরুল ইসলাম দুলাল’র নেতৃত্বে কুষ্টিয়া বারের বিজ্ঞ আইনজীবি সদস্যবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, সামাজিক ও মানবাধিকার কর্মীরা উপ্িস্থত ছিলেন।  দুপুর ১টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুনানীকালে উপস্থিত জেলার চাঞ্চল্যকর সহিংস ঘটনার শিকার ভুক্তভোগীরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বিচার বঞ্চনার করুণ কাহিনী তুলে ধরেন। এসময় আইনগত তথ্যাদি প্রদান করতে সেখানে উপস্থিত আইনজীবিরা সহায়তা করেন। শুনানী গ্রহণকারী কর্মকর্তা ড. মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদার অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুনে তা লিপিবদ্ধ করে সেখানে তাদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। তবে সময়াভাবে উপস্থিত সকল সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তাছাড়া সাক্ষাৎ দাতাদের সকলের বক্তব্য অনেকটা এক এবং অভিন্ন হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা শুনানী শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, আদালতের একজন বিচারক সম্পর্কে এজাতীয় অভিযোগ উত্থাপন খুবই দৃ:খজনক। সেই সাথে এখানে যে সকল বিচার প্রার্থীরা এসে তাদের বিচার না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, নাগরিক হিসেবে অবশ্যই তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। উল্লেখ্য কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত’র বিচারক আফজাল হোসেন’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূনীতি ও ঘুষের বিনিময়ে জেলার নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত সহিংসতার চাঞ্চল্যকর মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের ছেড়ে দেয়াসহ মামলাগুলি নিষ্পত্তি করে দেয়। এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বারের নেতৃবৃন্দ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আইন শৃংখলা বিষয়ক সভায়ও তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠা বিচার বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবার, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলার সর্বস্তরের সচেতন মহল। তারা বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে ঐ আদালতে বিরাজমান পরিস্থিতির নিরসন করে বিচারাঙ্গনের পবিত্রতা উদ্ধারে অভিযুক্ত আফজাল হোসেনকে চাকরীচ্যুৎ ও তার অপরাধের দৃষ্টন্তমুলক শান্তি এবং বিচার বঞ্চিতদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে; যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তাব্যক্তিবৃন্দ তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন