রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত ইজতেমা ময়দান

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা

আব্দুম মুনিব : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হল কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা। শনিবার দুপুর ১২টা ১২ মিনিট থেকে ১২টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিটের মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকা কাকরাইল
মসজিদের তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি মাওলানা ওমর ফারুক। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমায় কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লি শরিক হন। মোনাজাতে নিজেদের পাপ মোচনের জন্য মহান আল্লাহ তালার কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেই সাথে জানা-অজানা সব গুনাহ থেকে মাফ পাবার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দু হাত তুলে প্রার্থনা জানানো হয়। এসময় অনেক মুসল্লি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মোনাজাতের সময় ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত ছিল। মোনাজাতে অংশগ্রহন করেন বিএনপির জাতীয়নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পৌর মেয়র আনোয়ার আলীসহ জেলার বিভিন্নস্তরের গন্যমান্য ব্যাক্তীবর্গ। ইজতেমা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কুষ্টিয়া শহরের অদুরে চাদাগাড়া মাঠে বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলীগ জামায়াতের আঞ্চলিক বৃহৎ জমায়েত জেলা ইজতেমা। ইজতেমায় অংশ নিতে গত মঙ্গলবার থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করে। সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক ও সভাপতিত্বহীন এ সম্মেলনে যোগ দিতে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, ইঞ্জিন চালিত বিভিন্ন বাহন ও পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে সমাবেত হন। তারা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে ইজতেমা মাঠের নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে অবস্থান করেন। গত শুক্রবার প্রায় লাখো মুসল্লী ইজতেমা ময়দানের বৃহত্তম জুমার জামাতে অংশগ্রহণ করেন। মূল প্যান্ডেল ছাপিয়ে আশপাশে রাস্তা, শাখা রাস্তার ওপর পর্যন্ত হাজার হাজার মুসল্লী জুমার নামাজ আদায় করেন। কারো কারো মতে এটি কুষ্টিয়ার ইতিহাসে সর্ববৃহত জুম্মার নামাজ ছিলো। শনিবার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকেই কুষ্টিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার থেকে হাজার হাজার মানুষের স্রোত এগিয়ে চলে ইজতেমা ময়দানের দিকে।  দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে মোনাজাত শেষ হওয়ার পর মানুষের এই মিলনমেলা ভাঙে। একে একে তাঁরা নিজ নিজ গন্তব্যর উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে। এদিকে ইজতেমা মাঠের পশ্চিম প্রান্তে তাশকিলের ঘর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ইজতেমা থেকে কোন জামাত কোথায় যাবে, কত জনের জামাত হবে, বিদেশীদের সাথে কারা কারা জামাতবদ্ধ হবে, কোন জেলায় কতটি জামাত যাবে এর দাওয়াতী গন্তব্য। জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা ইজতেমা থেকে অন্তত ১শ জামায়াত ৩দিন, ১চিল্লা, ৩ চিল্লা ও ১ বছরের জন্য ইসলামের দাওয়াতের কাজে বেরিয়ে পরবে। ইজতেমায় আসা মুসলমানদের কাছে এ ইজতেমার আবেদন অনন্য। অনেকের বিশ্বাস, একসঙ্গে সবাই মিলে দোয়া করলে আল্লাহ কারও না কারও দোয়া কবুল করেন। দুনিয়া এবং আখেরাতের কামিয়াবী হাসিল করার জন্যই তারা মাঠে এসেছেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন