রবিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪

প্রতিবন্ধি বাছাইয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী সনাক্ত করণ জরিপ কর্মসূচির আওতায় প্রতিবন্ধিদের যাতয়াত খরচ ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্মানী বাবদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়াগেছে। জানাগেছে, স্বারক নং ৪১.০১. ৫০৩৯ .০০০. ০২. ০০২. ১৪-, ২০১৩ -১৪ অর্থ বছরে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে প্রতিবন্ধি সনাক্তকরণ জরিপের কাজ শুরু হয় , উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জরিপ কাজ পরিচালনা করেন। এ জরিপ ইউনিয়নের কার্যালয় ও ইউনিয়ন সদস্যদের বাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/নির্বাহী পরিচালকগণকে প্রতিবন্ধিদের যাতয়াত খরচ বাবদ প্রাগপুর ইউনিয়নে ‘প্রতিবন্ধি ফেডারেশন’ এর পরিচালক মোঃ ছামাদুল ইসলাম এর মাধ্যমে ১২,৯৪৪ টাকা, মথুরাপুর ইউনিয়নে রতœামুখী প্রতিবন্ধি সংস্থা এর মোঃ আব্দুল আজিজ কে ১৫,৮৯০ টাকা, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের ‘আলো সেচ্ছা সেবী সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক ফিরোজ আহাম্মেদ কে যথাক্রমে ১৬,০০০ ও ৯,৩৪২ টাকা, রামকৃষ্ণপুর ও আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের মুক্তিনারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা’র পরিচালক মমতাজ আরা বেগম কে ১০,২০৫ টাকা ও ১১,৬৭৬ টাকা, চিলমারী ইউনিয়নের ‘সেতু টি এন্ডটি সংস্থার’ মোঃ আঃ কাদের কে ৮,৫৩৫ টাকা, হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের ‘সবার সাথে বসবো প্রতিবন্ধি সংস্থার‘ মোঃ আব্দুল হান্নান কে ১৭,১২৪ টাকা, পিয়ারপুর ও রিফায়েতপুর ইউনিয়নে ‘আধার থেকে আলো প্রতিবন্ধি সংস্থার‘ মোঃ হাবিবুর রহমানকে ১৫,০৬৩ টাকা ও ১২,৭১২ টাকা, দৌলতপুর ইউনিয়নের ‘সবার সাথে জীবন গড়বো’ সংস্থার মোঃ রূপচাঁদ আলি কে ২১,২৪৭ টাকা, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সোনারতরী প্রতিবন্ধি সংস্থার মোছাঃ ফরিদা খাতুনকে ১৩,২৯৩ টাকা, খলিসাকুন্ডির ‘সৌমিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মোঃ নজরুল ইসলামকে ১২,০৪০ টাকা, আড়িয়া ইউনিয়নের এম.ডি.পি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মোঃ নজরুল ইসলামকে ১২,৯২৯ টাকা প্রদান করা হয়। অনুসন্ধানে জানাগেছে এ খাতে ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও দু’একটি ইউনিয়নের ১০/২০ জন ছাড়া অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের যাতয়াত এর জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়নি, ঐ সকল সংস্থার দায়িত্বরতরা জানিয়েছেন বরাদ্দের সব টাকা তাদের দেয়া হয়নি। এ ছাড়া ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দ দু’হাজার করে ২৮ হাজার ও ১৪ জন ট্যাগ অফিসারের জন্য দু’হাজার করে ২৮ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা কে.কে.এম ফজলে রাব্বী আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে আরো জানাযায়, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকতা বিভিন্ন সংস্থার পরিচালকদের নাম মাত্র টাকা দিয়ে টাকা প্রদানের মাষ্টাররোলে গ্রহীতার স্ব^াক্ষর করে নিয়েছেন। আবার কয়েকটি সংস্থার পরিচালক জানিয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না, বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্তিত্ব না থাকলেও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।  এসব বিষয়ে বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমাজ সেবা কর্মমর্তার কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে সমাজসেবা অফিসার কে.কে.্্এম ফজলে রাব্বীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন