বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৪

ষরযন্ত্রমূলক মামলায় আবারো গ্রেফতার সৈয়দ মাছ উদ রুমী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার : ষরযন্ত্রমূলক মামলায় আবারো গ্রেফতার হয়েছেন সৈয়দ মাছ উদ রুমী কলেজের অধ্যক্ষ নুর উদ্দিন মোঃ সেলিম। মঙ্গলবার রাতে তার শহরের মিল পাড়ায় অবস্থিত নিজ বাসা থেকে চাদাবাজি মামলায় আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় গ্রেফতার করা হয় মামলার অপর আসামী অধ্যক্ষ সেলিমের জামাই মিটুলকে। ষরযন্ত্রমূলক মামলায় আরো আসমী করা হয়েছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধাক্ষ শরিফুল ইসলাম এবং বঙ্কিম চন্দ্র দেবনাথকে। এদিকে সেলিমকে গ্রেফতারে করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তিনি বলেন, কলেজ কে ধ্বংস করার জন্য ষরযন্ত্রকারীরা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অধ্যক্ষ নুর উদ্দিন মোঃ সেলিমকে হয়রানি করছে। মামলার এজাহারে জানা যায়, গেল নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ দুপুর ১২ টায় কলেজের কমন রুমের সামনে অধ্যক্ষ সেলিম সসস্ত্র দলবল নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক মামলার বাদী আনজুমান নাহারের নিকট ৩ লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। কিন্তু সেই দিন সেই সময় আদেও এমন কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের একাধীক শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। তারা আরো জানায়, ২৭ তারিখ দুপুর ১২ টায় কলেজে অবস্থান করছিলো প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ
রুমী, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, সেকেন্ড অফিসার শওকতসহ অনান্য পুলিশ। এরমধ্যে এমন কোন ঘটনা ঘটে পারে না।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ কলেজকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপরে লেগেছে একটি মহল। সম্প্রতি মহামান্য হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অমান্য করে সৈয়দ মাছ উদ রুমী কলেজ জিম্মি করে দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছে সেই মহলটি। এসব ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়াসহ কলেজের আশেপাশের এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। সমস্যার সমাধান চেয়ে কর্মবিরতি পালন করেছে কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ।
এ অবস্থায় যে কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রশাসনিক সাহায্য পাবার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী নুরুদ্দিন মোঃ সেলিম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। আর এ কারনেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক ষরযন্ত্র মূলক মামলা করা হচ্ছে এমনটি জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক কর্মচারীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন