রবিবার, মার্চ ১৫, ২০১৫

ইবি’র কর্মরত সাংবাদিককে প্রক্টরের হুমকি

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে প্রক্টরের সাথে ‘দ্যা রিপোর্ট২৪ডটকমের’ প্রতিনিধির মোবাইল ফোনালাপ কালে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে প্রক্টর প্রফেসর ড.ত.ম লোকমান হাকিম। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাস খোলার দাবীতে পুলিশের বাধার উপেক্ষা করে সাধারন শিক্ষার্থীরা একটি মানববন্ধন করে। মানবনন্ধনে অংশ নেয়া কয়েক শিক্ষার্থীর দাবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. ত.ম লোকমানের নির্দেশে পুলিশ আমাদের মানবন্ধনে বাধা দেয়।
এতে সাধারন শিক্ষার্থীরা উদ্বত্য হয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. ত.ম লোকমান হাকিমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবী জানালে তিনি সাধারন শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করেন এবং ক্যাম্পাস খুলতে আরো ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের জানান।
পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে মানবন্ধন করে। মানববন্ধনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবী করে এবং এই প্রক্টরের কারনেই ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়েছে বলে দাবী করে। এসময় তারা আরো বলেন-‘বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রক্টর দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পরেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন দায়িত্বই সঠিক ভাবে পালন করতে পারেনা। এমনকি তিনি সবসময় ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যববহার করে থাকেন। আমরা দ্রুত এই প্রক্ট্ররের পদত্যাগ চাই।” পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্যা রিপোর্ট২৪ডটকম’ এর প্রতিনিধি রানা ক্যাম্পাস চালুর দাবিতে সাধারন শিক্ষার্থীদের মানবন্ধন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোন মানববন্ধন করেনি। সাংবাদিকদের কাছে মানববন্ধনের সচিত্র ভিডিও এবং ছবি থাকার কথা রানা জানালেও তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই প্রতিবেদককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’ তিনি বলেন, তুমি কিসের (অশ্লীল শব্দ) সাংবাদিক। সাংবাদিকতা ক্যাম্পাসের বাহিরে গিয়ে দেখাবা। তুমি আমার সামনে আসো তোমার সাংবাদিকতা আমি দেখে নিচ্ছি। তুমি কি জান? তুমি কয় পয়সার সাংবাদিক। দাঁড়াও তোমার সাংবাদিকতা আমি বের করছি।
এছাড়াও তিনি ক্যাম্পাসের ১৭৫ একরের মধ্য থেকে বের করে দেয়ার দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া আরো বলেন- ক্যাম্পাসে কোন মানববন্ধন হয়নি। তোমার মত ছাত্র আই ডোন্ট কেয়ার। তুমি ১৭৫ একরের বাহিরে গিয়ে কথা বলবা আমি সাংবাদিক তুমি রিপোর্ট২৪ এ লেখ এবং কোন ডিপার্টমেন্টে পড় আমি খুজে বের করছি।
যার কল রেকোর্ড রিপোর্টারের কাছে রয়েছে।
তার এমন অসৌজন্য মূলক আচারনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সাংবাদিক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের ইবি সংবাদদাতা রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন,‘প্রক্টর স্যারের এমন অসৌজন্য মূলক আচারনের আমরা তিব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমামুল হাসান আদনান বলেন-“বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছে থেকে আমরা এরকম নোংড়া ও অশ্লিল ভাষা প্রত্যাশিত নয়। আমি এ বিষয়ে বিস্মিত। তিনি এই আচরনের মাধ্যমে গোটা সাংবাদিক জগৎকে আক্রমন করেছে। প্রক্টওরের এই আচরনের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।’
পরে এবিষয়ে প্রক্টর ড. লোকমান হাকিম অন্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই সাংবাদিক আমার পদত্যাগ বিষয়ে জানতে চাইলে আমি তাঁর কাছে কিছু কৌফিয়ত চেয়েছিলাম। এসময় আমি উত্তেজিত হয়ে কিছু কথা বলে ফেলেছি। এর জন্য তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেন।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন