সোমবার, মার্চ ১৬, ২০১৫

কুমারখালীতে শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম শীর্ষক কর্মশালা

উন্নয়নের মানদন্ডে শিশু ও নারীর অবস্থা একটি অন্যতম সূচক
স্টাফ রিপোর্টার : কুমারখালীতে শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম(৪র্থ পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অধিনে নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়র পরিষদের কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ তৌহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেলা আক্তার। অনুষ্ঠানে যৌতুক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের আলোচনা করেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম। স্যানিটেশন, পরিবেশ ও জন্ম নিবন্ধনের উপর আলোচনা করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেলা আক্তার। এছাড়া মা ও শিশু স্বাস্থ পরিচর্যা এবং নিরাপদ মাতৃত্বের উপর আলোচনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান উম্মে সালমা পারভিন রুনা, কুষ্টিয়ার সহকারী তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, জগন্নাথপুর ইউনিয়র পরিষদের সচিব সুকুমার বিশ্বাস প্রমুখ। আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের মানদন্ডে শিশু ও নারীর অবস্থা একটি অন্যতম সূচক। আমাদের সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীরা তাদের মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যমে দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছেন। তারপরও উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশের নারীরা এখনও অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। তাই কর্মশালা হতে অর্জিত জ্ঞান শিশু ও নারীর উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য আলোচকরা অংশগ্রহণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানান। এছাড়া যৌতুক, বাল্য বিবাহ, মাদক ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে অগ্রণী ভুমিকা রাখার জন্য তিনি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বর্গের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়। কর্মশালায় ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন