বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩০, ২০১৫

ভেড়ামারায় মুক্তিযোদ্ধার বাসায় সশস্ত্র দূর্বৃত্তদের হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় জনগনের মাঝে তীব্র উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সহ-সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের ভেড়ামারা উপজেলার কাচারীপাড়াস্থ বাসায় দূর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অপরাধ সংগঠনের দীর্ঘ সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকার জনমনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীরা বিগত ২৬ জানুয়ারী ২০১৫ প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাসা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার মালামালসহ বিপুল পরিমাণ মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঐ দিনই এই ব্যপারে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
সন্ত্রাসী হামলার প্রধান হোতা একাত্তরের রাজাকার ও আল বদর দলপতি জনৈক আব্দুল হান্নান কবিরাজ গ্রেফতার এড়াতে কিছুদিন পালিয়ে বেড়ালেও এখন সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায়। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কুখ্যাত রাজাকার মিরপুরের চিকন আলীর ঘনিষ্ট সহযোগী একাত্তরের জল্লাদ হিসেবে কথিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী লুটপাট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা আব্দুল হান্নান কবিরাজ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে গা ঢাকা দিলেও ৭৫ এর আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর এলাকায় ফিরে এসে প্রথমে শিবিরের সাথী এবং পরে জামায়াত ইসলামীতে যোগদান করেন এবং স্বল্পসময়ের মধ্যেই মৌলবাদের অন্যতম নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়লেও তার বিরুদ্ধে জোট সরকারের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এদিকে গ্রেফতার না হওয়ার সাহসে ভিকটিম মুক্তিযোদ্ধাকে হান্নান কবিরাজের অপকর্মের সহযোগিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে । বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কুষ্টিয়া জেলা কমান্ড, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধার বাসায় সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন এবং অবিলম্বে অপরাধী আব্দুল হান্নান কবিরাজ গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
চুরি হওয়া জিনিসসমূহ, খাঁট তিনটা,ওয়ারড্রফ দুইটা, সোফা একসেট, ট্রলিসহ টিভি একটা, ক্যাসেট একটা ফ্রিজ একটা,মাইক্রো ওভেন,চারটা টেবিল, আলনা দুইটা, বুক সেলফ দুইটা, আলমারি একটা, মিট সেলফ একটা. জুতা স্ট্যান্ড একটা, ডাইনিং টেবিল আকটা, দশটা চেয়ার, টেলিফোন স্ট্যান্ড আকটা, সাইকেল দুইটা (লাল,এ্যাশ) ,হ্যান্ড মেশিন একটা (সেলাই মেশিন), টেবিল ফ্যান একটা, গ্যাসের চুলা একটা সিলেন্ডার সহ
রাইস কুকার একটা, চারটি সিলিং ফ্যান, ইস্ত্রি একটা, চার বস্তা হাড়ি, রান্না ঘরের র্যা ক, প্লেট স্ট্যান্ড. কাচের থালা-বাসন,একশো সেফটি ক্যাট (আম ও জাম), চারটা জাজিম দুইটা তোষক, অনেকগুলো সোপিস, বড় দুটি ট্রলিব্যাগ, একটা ড্রেসিংটেবিল, প্রতি ঘরে বাল্প। একটা গিটার
৩৫। তিনটা ফ্লাক্স সহ দুইটা হট ক্যারিয়ার
৩৬। চারটা হটপট,বাটি,কাপ,পিরিচ,থালা,বটি
৩৭। ড্রইংরুমের বিছানার উপর একটা হারমোনিয়াম ছিল
৩৮। তিনটা বালতি, বড় পানির জার দুইটা, বড় হাড়ি চারটা,ঘড়া দুইটা,ট্রে চারটা, ওয়াল ঘড়ি দুইটা, ওয়াল সোপিস দুইটা, ওয়াল কর্নার দুইটা, দুইআটি পারটি, কাঁসার ঘড়া,থালা-বাসন দেরমণ প্রায়, সোনার গহনা ৬ ভরি, প্রাইজবন্ড ০৯৭০টি, নগদ ক্যাশ=৪৭০০০’০০ টাকা ,মূল্যবান কাগজপত্র,ফাইল যাহা সংরক্ষিত ছিল (১১টা ফাইল), সাইজ ক্যাঠ ৫৬ সেফটি কাঁঠাল ও শিশু।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন