বুধবার, জুলাই ২৯, ২০১৫

স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলাম-আছি-থাকবো : সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী


স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেছেন, দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। দেশে চরম অরাজকতা চলছে আর এ দুঃসময়ে শুধু বিএনপি নয়, সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের মানুষকে ভালবাসেন, তাদের মধ্যে আর বিভক্তি নয়। সকলকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপখে ছিলাম রাজপথে আছি রাজপথে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার সন্ধায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্যেশে তিনি এ কথা বলেন। সদ্য জামিন পাওয়া বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, এ সরকার নিশ্চিত হয়েছে, জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা জনবিচ্ছিন্ন। তাই তারা রাষ্টীয় শক্তিকে জনগণের বিরুদ্ধে লাগিয়ে নিজেদের মসনদ স্থায়ী করার দিবা স্বপ্ন দেখছে। এজন্য তারা ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, হামলা চালিয়ে মিথ্য মামলা দিয়ে আন্দোলন দমাতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ এটাই প্রমাণ করেছে যে, তারা দলীয় সরকারের হয়ে কাজ করছে। ক্ষমতার পালা বদল আসবে। সেই সময় এসব মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলার সঠিক তদন্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনরে কৌশল হিসেবে গ্রেফতার না হয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে দলীয় সকল কর্মকান্ড চালিয়ে গেছি। সেই সাথে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মামলা এবং জামিনের ব্যাপারে সবসময় মনিটরিং করেছি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় মহিলাদলের দলের অন্যতম নেতা জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা অধ্যাপিকা সৈয়দা ফাহিমা রুমী। তিনি বলেন, দলের ভেতরে ও বাইরে থেকে যারা দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে তাদের খুজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যাবস্থা নিতে হবে। বিএনপি শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। তার আদর্শের উপর ভিত্তি করে নেতাকর্মীদের আরো সুসংগঠিত হয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সূদৃর ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, মামলা, হামলা, নির্যাতন করে বিএনপির আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। সত্যের জয় একদিন হবেই।
সভায় সদ্য জামিন পাওয়া বিএনপির এই নেতা কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় জেলা যুবদল ও শহর ছাত্রদল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, কুমারখালী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম রিপন, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.শামীম উল হাসান অপু, শামসুজ্জাহিদ, ক্রিড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড.খাদেমুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মহফুজুর রহমান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ম্যাক, কৃষকদল নেতা মোকারম হোসেন মোকা, জগতী ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাশিদুল প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন