বুধবার, জুলাই ২৯, ২০১৫

ইবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান নারীসহ আটক: মুচলেকা দিয়ে মুক্তি

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার আতাউর রহমানকে (৫০) সোমবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থানাপাড়ার লরেন্স লেনের একটি বাসা থেকে এক নারীসহ আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন থানায় অভিযোগ করলে অপ্রীতিকর অবস্থায় নারীসহ হাতেনাতে ধরে বলে জানিয়েছে কুষ্টিয়া সদর থানার পুলিশ। তদবীরের জোরে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে থানায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি নেন তিনি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সুত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার আতাউর রহমান। গ্রামের বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জ। দুই সন্তান ও স্ত্রী রেখে বিভিন্ন সময়ে অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীর প্রতি দূর্বল শ্রেনীর লোকজনের মধ্যে অন্যতম একজন। কিন্তু তার স্ত্রীকে চাপাইনাববগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে রেখে দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি কুষ্টিয়া থানা পাড়ায় লরেন্স লেনে এই বাসায় ভাড়া থাকেন। এখানে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের মহিলা নিয়ে আমোদ প্রমোদ করে। এলাকাবাসী তাকে বারবার সতর্ক করা সত্বেও তিনি তা অগ্রাহ্য করেন। সর্বশেষ গত সোমবার সন্ধ্যায় তার বাসার কাজের মেয়ে রিমুকে (ছদ্মনাম) নিয়ে রাত যাপন কালে এলাকাবাসী কুষ্টিয়া থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ ওই রাতেই আতাউর রহমানকে ওই মেয়েসহ অপ্রীতীকর অবস্থায় ওই বাসার একটি রুম থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের সময় স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাতভর ওই মেয়েসহ আতাউর রহমানকে থানায় আটক করে রাখা হয়। এখবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারও থানায় আসে। আটক থাকা অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর থানায় বিভিন্ন মহল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবীর করতে থাকে। আর এ তদবীরের জোরে গতকাল সোমবার বিকেলে থানায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি নেয় আতাউর রহমান।
আরোও জানা যায়, তাকে ছাড়িয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তার অনুসারী কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা কুষ্টিয়া থানা পুলিশকে হাত করতে চেষ্টা করেন এবং ওই মেয়ের পরিবারকে অভিযোগ না করার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রলোভোন দেখায়। এতে ওই মেয়ে ও মেয়ের পরিবার এই প্রভাবশালী মহলের চাপে পুলিশের কাছে আতাউর রহমানের ব্যাপারে কোন অভিযোগ করেন নি এবং অনৈতিক আচরনের বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এব্যাপারে আতাউর রহমান জানান, আসলে সে আমার কাজের মেয়ে। বাসায় কোন কাজ ঠিক ভাবে না করায় আমি রাগান্বিত হয়ে থাপ্পর মেরেছিলাম। এছাড়া তার সাথে আর কোন কিছু হয়নি। তবে আমি স্থানীয়দের চক্রান্তের স্বীকার। এব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আতাউর রহমানকে তার বাসা থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এক মেয়েসহ আটক করেছিলাম। কিন্তুু ওই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আতাউর রহমানের ব্যাপারে মুখ খোলেনি এবং কোন অভিযোগও দায়ের করেন নি। তাছাড়া মেয়েটির পরিবারও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের না করায় মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন