হাওয়া ডেস্ক ॥ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার। ‘মোবাইল ভিডিও’ নামক ভয়ঙ্কর উপসর্গ ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজে। মোবাইলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, কথোপকথন, ভিডিও চিত্র মুহূর্তেই চলে যাচ্ছে সর্বত্র। আর এক্ষেত্রে প্রধান টার্গেট তরুণী ও মহিলারা। এর হাত ধরে কলুষিত হচ্ছে গোটা যুবসমাজ। সহজলভ্য মোবাইল ভিডিওর মাধ্যমে তরুণেরা প্রবেশ করছে নিষিদ্ধ জগতে। নেশা থেকে পেশাদার অপরাধীতে পরিণত হচ্ছে তারা। সম্ভ্রম হারিয়ে নারীরা বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথ। ভাঙছে সংসার, ধ্বংস হচ্ছে পরিবার।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বিগত ২০১৩ সালে মোবাইলের নেতিবাচক ব্যবহারের ফলে সারা দেশে ৫৫ জন তরুণী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ ছাত্রী, গৃহিণী ও পেশাজীবী নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় মোবাইলের মাধ্যমে হয়রানিসংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে ২০৩টি। র্যাবের দেয়া তথ্য ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের দায়ে নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত বিটিআরসি বন্ধ করেছে প্রায় ১৫ লাখ মোবাইল সিম। ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) অ্যাক্ট ২০০৯-এর বলে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব গত বছর আটক করেছে ৬৮৭ জনকে। সিআইডি তদন্ত করছে ১৯টি স্পর্শকাতর মামলা।
আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী সাইবার ক্রাইমের দায়ে দ-িত হলে ১০ বছরের কারাদ- এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। প্রকারান্তরে এ ধরনের অপরাধের কারণে যদি কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তবে হত্যা অথবা হত্যার প্ররোচনার (ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ও ৩০৪ ধারা) অভিযোগেও অভিযুক্ত হতে পারে, যার শাস্তি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদ-ও হতে পারে। আইন থাকলেও তা প্রয়োগে দুর্বলতার কারণে কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না এ অপরাধ। উপরন্তু দিন দিন বেড়েই চলছে এর মাত্রা। এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দারা বলছেন, প্রতিদিনই আপগ্রেডেড হচ্ছে মোবাইল টেকনোলজি। আর সেগুলো ব্যবহার করছে সাইবার অপরাধীরা। মূলত সে কারণেই তাদের ধরা দিন দিন দুরূহ হয়ে পড়ছে।
যেকোনো স্মার্ট ফোনের (অ্যানড্রয়েড ফোন) মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারণ ও ডাউনলোড সম্ভব। মাত্র তিন হাজার টাকায় এখন এ ধরনের একটি মোবাইল সেটের মালিক হতে পারেন যে কেউ। মোবাইল ব্যবহারকারীর কোনো শ্রেণীবিন্যাস না থাকায় যে কেউই মাত্র ৫০ টাকায় যেকোনো অপারেটরের একটি সিম কিনে ইন্টারনেটসহ মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। ২০০৮ সালের আগে নতুন সিম নিতে হলে ফরম পূরণ, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দেয়ার বিধান ছিল না।
বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বিগত ২০১৩ সালে মোবাইলের নেতিবাচক ব্যবহারের ফলে সারা দেশে ৫৫ জন তরুণী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ ছাত্রী, গৃহিণী ও পেশাজীবী নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় মোবাইলের মাধ্যমে হয়রানিসংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে ২০৩টি। র্যাবের দেয়া তথ্য ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের দায়ে নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত বিটিআরসি বন্ধ করেছে প্রায় ১৫ লাখ মোবাইল সিম। ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) অ্যাক্ট ২০০৯-এর বলে গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব গত বছর আটক করেছে ৬৮৭ জনকে। সিআইডি তদন্ত করছে ১৯টি স্পর্শকাতর মামলা।
আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী সাইবার ক্রাইমের দায়ে দ-িত হলে ১০ বছরের কারাদ- এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। প্রকারান্তরে এ ধরনের অপরাধের কারণে যদি কারো অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তবে হত্যা অথবা হত্যার প্ররোচনার (ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ও ৩০৪ ধারা) অভিযোগেও অভিযুক্ত হতে পারে, যার শাস্তি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদ-ও হতে পারে। আইন থাকলেও তা প্রয়োগে দুর্বলতার কারণে কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না এ অপরাধ। উপরন্তু দিন দিন বেড়েই চলছে এর মাত্রা। এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দারা বলছেন, প্রতিদিনই আপগ্রেডেড হচ্ছে মোবাইল টেকনোলজি। আর সেগুলো ব্যবহার করছে সাইবার অপরাধীরা। মূলত সে কারণেই তাদের ধরা দিন দিন দুরূহ হয়ে পড়ছে।
যেকোনো স্মার্ট ফোনের (অ্যানড্রয়েড ফোন) মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারণ ও ডাউনলোড সম্ভব। মাত্র তিন হাজার টাকায় এখন এ ধরনের একটি মোবাইল সেটের মালিক হতে পারেন যে কেউ। মোবাইল ব্যবহারকারীর কোনো শ্রেণীবিন্যাস না থাকায় যে কেউই মাত্র ৫০ টাকায় যেকোনো অপারেটরের একটি সিম কিনে ইন্টারনেটসহ মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। ২০০৮ সালের আগে নতুন সিম নিতে হলে ফরম পূরণ, ছবি ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দেয়ার বিধান ছিল না।