শুক্রবার, জানুয়ারী ২৫, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচী : আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

আব্দুম মুনিব : আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর এদিন জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে তাই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হবে। বিভিন্ন সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর পরিবেশে এই দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেÑ মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং ঢাকা মহানগরীতে ধর্মীয় শোভাযাত্রা। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াও এ উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তাঁর বাণীতে মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, মহান আল্লাহ’র কাছে এ প্রার্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন,‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ ও সফলতা।’ তিনি বলেন,আজকের অশান্ত ও

বছরের শুরুতেই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে ১৯ হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি বন্টনে ১৭ তম বর্ষের শুরুতেই ভাটির বাংলাদেশ প্রায় ১৯ হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভারত তার ন্যায্য হিস্যা ঠিকই বুঝে নিযেছেন। ভারত পেয়েছে ৮০ হাজার কিউসেক। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি চুক্তি কার্যকরের ১৭তম বছর শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। উভয় দেশের দু’টি প্রতিনিধি দল একটি ফারাক্কা পয়েন্টে, অপরটি বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এই পানি বণ্টন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পাঁচ মাস অবস্থান করেন। মে‘র ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই বণ্টন কার্যক্রম চলে। চলতি বছরেও ১ জানুয়ারিতে এ বণ্টন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে পেয়েছে ৫৯ হাজার ২’শ ৮১ কিউসেক পানি। পানি বণ্টন চুক্তির সংলগ্নি ২ এর ইন্ডিকেটিভ অনুযায়ী বাংলাদেশ পাওয়ার কথা ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি। এ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ কে ৮ হজার ২’শ ৩৫ কিউসেক পানি কম দিয়েছে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী ফারাক্কা পয়েন্টে ভারতকে ৪০ বছরের গড় পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ১ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে ভারত ফারাক্কায় ৮৬ হাজার ৭’শ ২০ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। ভারত তার ন্যায্য হিস্যা ৪০ হাজার কিউসেক বুঝে নিয়ে বাংলাদেশ কে দিয়েছে ৫৯ হাজার ২’শ ৮১ কিউসেক পানি।
জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় ১০ দিনে (১১-২০) বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পাওয়া গেছে ৪৬ হাজার ৮’শ ৫৯ কিউসেক পানি। পাওয়ার কথা ছিল ৫৭ হাজার ৬’শ ৭৩ কিউসেক পানি। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার বাণী

হাওয়া ডেস্ক : “মহান আল্লাহ্ বিশ্ব জগতের রহমত স্বরূপ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে এই জগতে প্রেরণ করেন। বিশ্বনবীর আবির্ভাবে পৃথিবীতে মানুষ ইহলৌকিক ও পরলৌকিক জগতের মুক্তির সন্ধান পায় এবং নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভ করে। সমাজে বিদ্যমান শত অনাচার ও কদর্যতার গ্লানি উপেক্ষা করে মহানবী মোহাম্মাদুর রাসুল্লাহ (সাঃ) মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।  মহানবী (সাঃ) মানব জতির জন্য এক উজ্জল অনুসরণীয় আদর্শ। নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করে তার উপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী তথা তওহীদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুর করে অত্যাচর ও জুলুমবরণ করে সত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত মজলুমদের সেবা, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমত সহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমাগুণ, শিশুদের প্রদি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সাঃ) এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে অভিষিক্ত। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা করি মহানবী

গণতন্ত্র হত্যা দিবসে খালেদা জিয়ার বাণী

“১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করে। তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই এই অমানবিক মধ্যযুগীয় আইন পাশ করে। এই একদলীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক, ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে। সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে। এর ফলে চিরায়ত গণতন্ত্রের প্রাণ শক্তিকেই তারা সেদিন নিঃশেষ করে দেয়। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে

শিক্ষকের মূল্যায়ন : মনে পড়ে সারাক্ষণ

ছাত্র জীবনে আমার এক সহপাঠি একটা মজার গল্প বলেছিলো। একবার এক বিয়ে বাড়িতে কণ্যা পক্ষের এক মুরুব্বী বাড়ির চ্যাংড়াদের ডেকে বললেন “আরে ভদ্র লোকের ছেলেরা বরযাত্রী হয়ে এসেছে তাদের খানা পিনার ব্যবস্থা করা হয়েছে তো?” উত্তরে কণে পক্ষের লোকেরা বল্লো জি জি মোরলজি খানাপিনা সব দেওয়া হয়েছে। মোড়লজি আবার জিজ্ঞাসা করলেন কি দিয়েছিস? এবার সবাই এক সাথে বলে উঠলো “এক খানা করে রুটি আর দুটো করে কাঠালের রুয়া দেয়া হয়েছে।” এতে মোড়ল রেগে জেয়ে বললেন, “আরে গাঁধার গাঁধারা! এই কি কোন খানা হলোরে- দে আর আধখানা করে রুটি আর একটা করে কাঁঠালের রুয়া, বরযাত্রিরা খেতে থাক বসে বসে।”
৩৭ বছর আগের শোনা গল্পটি একটু কাজে লেগে গেলো। বাস্তবে এর একটু সাদও পেলাম। গল্পটি মনে পড়লো আমাদের একটি প্রাপ্তির খবর পেয়ে। তবে ঐ গল্পের সাথে একটু পার্থক্য আছে।

খোকসায় অফিসে ধুমপান করায় সাব রেজিষ্টারের ১’শ টাকা জরিমানা

মনিরুল ইসলাম মনি, খোকসা : কুষ্টিয়ার খোকসায় অফিসে বসে ধুমপান করায় সাব-রেজিষ্টারের ১’শ টাকা জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা জমি রেজিষ্টার অফিসের সাব-রেজিষ্টার রুমে এক সাংবাদিক প্রবেশ করলে দেখতে পায় সাব-রেজিষ্টার গোলাম মওলা রেজিষ্ট্রিকৃত জমির দলিলে স্বাক্ষর করছে আর ধুমপান করছে। তার টেবিলের পাশ দিয়ে অনেক জনগন দাড়িয়ে আছে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক দ্রুত ধুমপান করা অবস্থায় ছবি তোলে। ছবি তোলা দেখে সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়। পরে সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সোহেল হাসান এর নিকট ধুমপান করার ছবি দেখালে তিনি সাব-রেজিষ্টারকে জরিমানা করার জন্য সাবরেজিষ্টার অফিসে যেতে চান। ঠিক তার কিছুক্ষন পরেই ইউএনও এর অফিসে হাজির হয় সাব-রেজিষ্টার গোলাম মওলা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অফিসে বসে ধুমপান করার কথা শিকার করলে তাৎক্ষনিক ১’শ টাকা জরিমান করা হয়। গোলাম মওলা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার দায়িত্বে রয়েছে এবং খোকসায় অতিরিক্ত দায়িত্বে কাজ করছে।

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় পুলিশের একটি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূণবার্সন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ১৩ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের প্রতিবাদে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার জজ কোর্ট চত্বরে সংগঠনটির সভাপতি এ্যাড. অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়। আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও নিন্ম আদালত ও বিজ্ঞ জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমন রায়ে মানুষ আদালতের উপর আস্থা হারাচ্ছে। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না। সরকার যেভাবে বিরোধী দলের উপর মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করছে তাতে মনে হচ্ছে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেয়। তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ বাকশালী সরকার কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে আটক নেতাদের মুক্ত করা হবে।  এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পিপি এ্যাড. গোলাম মহাম্মদ, এ্যাড. কুতুবুল আলম নতুন, এ্যাড.ওয়াদুদ মিয়া, এ্যাড.আব্দুল মজিদ, এ্যাড.খন্দকার সিরাজুল