শুক্রবার, জানুয়ারী ২৫, ২০১৩

বছরের শুরুতেই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে ১৯ হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানি বন্টনে ১৭ তম বর্ষের শুরুতেই ভাটির বাংলাদেশ প্রায় ১৯ হাজার কিউসেক পানি কম পেয়েছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভারত তার ন্যায্য হিস্যা ঠিকই বুঝে নিযেছেন। ভারত পেয়েছে ৮০ হাজার কিউসেক। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি চুক্তি কার্যকরের ১৭তম বছর শুরু হয়েছে। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। উভয় দেশের দু’টি প্রতিনিধি দল একটি ফারাক্কা পয়েন্টে, অপরটি বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে এই পানি বণ্টন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পাঁচ মাস অবস্থান করেন। মে‘র ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই বণ্টন কার্যক্রম চলে। চলতি বছরেও ১ জানুয়ারিতে এ বণ্টন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে পেয়েছে ৫৯ হাজার ২’শ ৮১ কিউসেক পানি। পানি বণ্টন চুক্তির সংলগ্নি ২ এর ইন্ডিকেটিভ অনুযায়ী বাংলাদেশ পাওয়ার কথা ৬৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি। এ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ কে ৮ হজার ২’শ ৩৫ কিউসেক পানি কম দিয়েছে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী ফারাক্কা পয়েন্টে ভারতকে ৪০ বছরের গড় পানিপ্রবাহ অর্থাৎ ১ লাখ ৭ হাজার ৫১৬ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে ভারত ফারাক্কায় ৮৬ হাজার ৭’শ ২০ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। ভারত তার ন্যায্য হিস্যা ৪০ হাজার কিউসেক বুঝে নিয়ে বাংলাদেশ কে দিয়েছে ৫৯ হাজার ২’শ ৮১ কিউসেক পানি।
জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় ১০ দিনে (১১-২০) বাংলাদেশের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পাওয়া গেছে ৪৬ হাজার ৮’শ ৫৯ কিউসেক পানি। পাওয়ার কথা ছিল ৫৭ হাজার ৬’শ ৭৩ কিউসেক পানি। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম পেয়েছে ১০ হাজার ৮’শ ১৪ কিউসেক পানি। এসময় ফারাক্কা পয়েন্টে ভারত ৮২ হাজার ৮’শ ৯৭ কিউসেক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই ১১ মার্চ থেকে ১০মে পর্যন্ত একটি বাদে ১০ দিন অনুক্রমে গ্যারন্টিযুক্তভাবে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। অপর দিকে ভারত ২১-৩১ মার্চ, ১১-৩১ এপ্রিল এবং ১-১০ মে এই তিনটি ১০ দিনে গ্যারানিটযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে। পানি চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকার সব সময় বাংলাদেশ কে পানি কম দেওয়া অব্যহত রেখেছে, ২০০৭ সালের প্রথম কিস্তিতেই নিজের হিস্যা ঠিক রেখে ফারাক্কায় বাংলাদেশকে ২৯ হাজার ৫৫০ কিউসেক পানি কম দিয়েছে ভারত। ২০০৮ সালে ১১ হাজার ৬৩৩ কিউসেক, ২০০৯ সালে ১১ হাজার ১০২ কিউসেক, ২০১০ সালে ২০ হাজার ৭’শ ৯৬ কিউসেক এবং ২০১১ সালে ফারাক্কায় বাংলাদেশ কম পেয়েছে ১১ হাজার ৩ ’শ ৩৭ কিউসেক পানি।

1 টি মন্তব্য: