শুক্রবার, জানুয়ারী ২৫, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় পুলিশের একটি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূণবার্সন বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ১৩ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের প্রতিবাদে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার জজ কোর্ট চত্বরে সংগঠনটির সভাপতি এ্যাড. অধ্যক্ষ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়। আইনজীবীরা অভিযোগ করে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও নিন্ম আদালত ও বিজ্ঞ জজ আদালতে জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এমন রায়ে মানুষ আদালতের উপর আস্থা হারাচ্ছে। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না। সরকার যেভাবে বিরোধী দলের উপর মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করছে তাতে মনে হচ্ছে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেয়। তারা আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ বাকশালী সরকার কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে আটক নেতাদের মুক্ত করা হবে।  এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পিপি এ্যাড. গোলাম মহাম্মদ, এ্যাড. কুতুবুল আলম নতুন, এ্যাড.ওয়াদুদ মিয়া, এ্যাড.আব্দুল মজিদ, এ্যাড.খন্দকার সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. খাদেমুল ইসলাম, এ্যাড.হাফিজুল ইসলাম মুনীর, এ্যাড. আসাদুজ্জামান খান, এ্যাড. আজমল হক, এ্যাড. এস এম বদিউজ্জামান, এ্যাড. রেজাউল করিম, এ্যাড. নাজমুল হক বিপু, এ্যাড. মাহবুবুর রশিদ খান, এ্যাড. ওয়ালিউল বারী, এ্যাড. এনামূল হক, এ্যাড. হাসান রাজ্জাক রাজু, এ্যাড. আয়েশা সিদ্দিকা , এ্যাড. আব্দুল হান্নান, এ্যাড. এম এম মজিদ মোল্লা, এ্যাড. আলী নেওয়াজসহ প্রায় শতাধিক আইনজীবী।
উল্লেখ্য, জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারন সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, জেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান খোকন, খন্দকার মেহেদী হাসান, মাসুদ রানা, ওসমান গনি, ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমেদ রনি, মোশফেকুর রহমান তুহিন, সেচ্ছাসেবকদল নেতা আমির বাদশাকে পুলিশের একটি মামলায় গত সোমবার জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক দুই সংসদ সদস্য কে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১২ সালে ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত নগ্ন হামলা চালায়। এতে পুলিশ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘন্টা ধরে চলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে টিয়ারসেল, গুলি ও লাঠিচার্জ করে প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে আহত করে। পুলিশের বেপরোয়া এ্যাকশন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ৪০ জন বিএনপি নেতা কর্মী আহত হয়। ওই সময় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে দাবী করে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ ৫শ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। মডেল থানার এসআই ওবাইদুর রহমান ওই মামলার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পেনাল কোড ১৪৩/১৪৪/১৪৯/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/১১৪ ধারায় মামলা হয়। মামলা নং ১৫ তারিখ ১০-১২-১২।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন