বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০১৩

খোকসায় সংখ্যালঘুর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতী : নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট

বিশেষ প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার খোকসায় সংখ্যালঘুর বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতী। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট। ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা। ২ ঘন্টা ডাকাতদের তান্ডবের সময় পুলিশ ছিল মেলার জুয়ার কোর্টে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খোকসার মামুদানীপুর গ্রামে সংখ্যালঘু দীনবন্ধু ভৌমিক এর বাড়ীতে ২০-২৫ জনের একটি স্বসস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে পরিবারে সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাগেছে ডাকাত দল রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ঐ বাড়ীতে হানা দেয়। এ সময় তারা দীনবন্ধুর ৫ ছেলে অধীর ভৌমিক, সনাতন ভৌমিক, পরিমল ভৌমিক, রনজিত ভৌমিক, সুধান্ন ভৌমিকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৭টি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পাশেই পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও ডাকাত দল চলে যাবার প্রায় ১ ঘন্টা পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এ ব্যপারে খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকারের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন থানায় মামলা হয়েছে। রাতে জিজ্ঞাবাদের জন্য ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ডাকাতী মামলাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য পুলিশ এলাকার নিরিহ সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হয়রানী করছে। আটকৃতদের সম্পর্কে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সনাতন ভৌকিকের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন পুলিশ যাদের থানায় ধরে নিয়ে গেছে তারা নিরিহ লোক। তারা কেউ এ ডাকাতীর ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে এটি আমার বিশ্বাস হয় না। তাদের সাথে আমাদের পরিবারের সুসম্পর্ক রয়েছে। জয়ন্তীহাজরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন এই এলাকায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা সম্পর্কে গত মাসে ওপেন হাউড ডে’তে আমি বলেছিলাম। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত তাহলে এ ধরনের ঘটনায় হয়ত ঘটত না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর মাল জানায় গত ১০ বছরে ঐ পরিবারসহ আশ পাশের সংখ্যালঘু বাড়ীতে বেশ কয়েকবার ডাকাতীর ঘটনা ঘটেছে কিন্তু একটিরও মামলা হয়নি। যাদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে তারা সবাই সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসী জানাই প্রতিবার ডাকাতীর পরই পুলিশ ভুক্তভোগীরা যাতে ডাকাতী মামলা না করে সেজন্য জোর তৎপরতা চালায়। এলাকাবাসী জানায় দীনবন্ধুর বাড়ীতে যখন ডাকাতী চলছিল তখন খোকসা থানা পুলিশ ব্যস্ত ছিল খোকসার ঐতিহ্যবাহী কালী পূজার মেলায় জুয়ারীদের পাহাড়ায় দিতে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন এবং সদর সার্কেল ফকরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী আটকৃতদের ছেড়ে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন