বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০১৩

কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

উন্নয়নে অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে : সৈয়দ বেলাল হোসেন

ষ্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন,উন্নয়ন বঞ্চিতের প্রতিচ্ছবি বা ধারাবাহিকতার পরিবর্তন দেখাতে হবে জেলাবাসীকে। উন্নয়নে পরিবর্তন ধরে রাখতে কঠিনতম সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে অংশীদারীত্বকারী সকল দপ্তর অধিদপ্তর ও সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে কোন অনিয়মের দায়-দায়িত্ব জেলা প্রশাসন নেবে না। উন্নয়নের নামে গ্রহণকৃত প্রকল্পের কাজের উন্নয়ন কিছুই হয়নি এমন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য জেলার মত কুষ্টিয়া আর পিছিয়ে থাকবে না। জেলার যোগাযোগ খাতেরও উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে মাননীয় রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যাওয়ার রাস্তার কাজের মান হতে হবে ভিভিআইপি মানের। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত প্রতিশ্র“তি কুষ্টিয়ার গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কয়েক’শ কোটি টাকার কাজের উন্নয়ন কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও অবহেলা সহ্য করা হবেনা। প্রমান পেলেই ব্যবস্থা। তিনি বলেন জেলার একজন কর্মকর্তার বাইরেও আপনি একজন এদেশের নাগরিক। সেই নাগরিকত্বের দায়িত্ববোধ থেকে স্ব স্ব অবস্থান কাজ করলে এদেশ এগিয়ে যাবে। কুষ্টিয়ার সার্বিক উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলার উন্নয়নে ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত উন্নয়নের অংশিদার প্রতিষ্ঠান সমুহকে আরো আন্তরিক হতে হবে। সভায় বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম,আবুল কালাম, শিহাব রায়হান, এস এম জামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ রাসেল মিয়া, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নবাগত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কান্তি হালদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রেজা, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমূল রাজিব,দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল হাসান, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজনু, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম, দৌলতপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আকবর, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদ, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কবির, কুষ্টিয়া পল্ল¬¬ীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম মুখলেছ গনি, কুষ্টিয়া সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান, জেলা পাসপোর্ট সহকারী পরিচালক আলী, আশরাফ. জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজা আলম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আলীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার, গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান,জেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, জেলা রেজিষ্টার আব্দুল জলিল, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাচানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, জেলা মৎস কর্মকর্তা এমদাদুল হক, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা বানু,তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান, উদ্যানের পরিচালক একরামুল হক, বনকর্মকর্তা হুমায়ূন কবির, বাজার মনিটরিং অফিসার রবিউল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল গনি, জেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ পাল, জেলা শিশু কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মারুফ হাসান ও জেলা জনশক্তি কর্মসংস্থানের সহকারী পরিচালক রাহেনুর ইসলাম প্রমুখ। সভায়,জেলা রেজিষ্টার আব্দুল জলিলের জবাবে বক্তারা বলেন, সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি রেজিষ্ট্রির সময় দলিল প্রতি অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যে কোন মুল্যে বন্ধ করে জনসাধারনকে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। জনস্বার্থে কতিপয় দূর্নীতিবাজ সাব রেজিষ্টার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অযোগ্য কাজের কারনে সরকারের মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারেনা। প্রতিটি উপজেলার সাব রেজিষ্টার অফিসগুলোতে দলিল প্রতি সরকারী নির্ধারণকৃত মূল্য তালিকা সিটিজেন চার্টারে টাঙ্গিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়ার আহবান জানানো হয়। হরিপুর সেতুর ঠিকাদার পালানো ও নির্মাণ কাজের মালামাল সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কবির জানান, ইতোমধ্যে যে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিল তার ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল হয়েগেছে। ফলে সে তার নির্মাণ কাজের জন্য আনা মালামাল সরিয়ে ফেলছে। নতুন করে আবার ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হবে খুব শীঘ্রই সেই অনুযায়ী আবার কাজ শুরু হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলওয়ে সহ যে সকল প্রতিষ্ঠানের সরকারী জমি বিভিন্ন সময়ে দখলদাররা অবৈধভাবে দখল করে আছে সকল জটিলতা নিরসন করে জমি উদ্ধারে এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন