মঙ্গলবার, মার্চ ০৫, ২০১৩

ঝিনাইদহে জামায়াতের নারীকর্মীদের সড়ক অবরোধ


ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে ঝিনাইদহে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে গাছ কেটে ও গুড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন নারীকর্মীরা। জেলার কোটচাঁদপুরে সোমবার ভোরে রেল লাইন উপড়ে ফেলে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। কোটচাঁদপুরের বলুহর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রেললাইনের কয়েকটি পাত ও স্লিপার খুলে ফেলে তারা। ঘটনাটি জানাজানির পর খুলনা-ঈশ্বরদী রুটে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক ঘন্টা ধরে রেললাইন মেরামত করে। ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে কোটচাঁদপুর ষ্টেশন মাষ্টার আনিসুর রহমান জানান। হরতাল সমর্থকরা রেললাইন উপড়ে ফেলে বলে এলাকাবাসী ও রেলকর্মীরা জানান।
সোমবার সকাল থেকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের লাউতলা থেকে ঘিঘাটি এলাকা পর্যন্ত গাছ ফেলে জামায়াতের নারীকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। হাজার হাজার নারী এ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অন্য জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তারা লাঠি- সোটা ও ঝাড়– হাতে বিক্ষোভে অংশ নেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল থেকেই শত শত নারী কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের লাউতলা থেকে ঘিঘাটি পর্যন্ত গাছ ফেলে অবরোধ করেন। চেষ্টা করেও তাদের সরানো যায়নি। এ কারণে সড়কে সব ধরণের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের তেতুলতলা, বিষয়খালী, ছালাভরা, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ডাকবাংলা ও বৈডাঙ্গা বাজারেও সড়ক অবরোধ করে রাখে। জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে। অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
সোমবার জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ ছিল। গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রেখেছে পিকেটাররা। দুরপাল্লাসহ কোনো রুটেই যানবাহন চলাচল করেনি। তবে জেলা শহরের কোথাও পিকেটারদের দেখা যায়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন