মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৯, ২০১৩

হরতাল সমর্থনে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

বিএনপিকে উৎখাত করতেই কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে : সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী



স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় কারাগারের পাঠানোর প্রতিবাদে ও তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার ৪৮ ঘন্টার হরতাল সমর্থনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে শুরু হয়ে
শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে বড় বাজার রেল গেটে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির জাতীয় বিএনপির কমিটির ত্রান ও পুনর্বসান বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় বিএনপির কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন।
সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রই অংশই হচ্ছে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকার পূর্নবহালের দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। আর এতেই আঁতে ঘাঁ লেগেছে মহাজোট সরকারের। মহাজোট সরকারকে হুশিয়ারী করে তিন বলেন শহীদ জিয়ার সৈনিকরা জেল-জুলুম দেখে ভয় পায় না। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ সকল বিএনপির নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনে হুমকি দেন। হরতাল সফল করতে তিনি নেতা-কর্মীদের সক্রীয় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম দেখে এ সরকার ভয় পেয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বিএনপি কোন মিছিল মিটিং করতে পারবে না এটা অগণতান্ত্রিক। মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জেলে পুরো হচ্ছে। শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া সংগঠনের নেতা-কর্মীদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে তা কোন দিন হতে দেবে না। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ সকল বিএনপির নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনে হুমকি দেন। তিনি আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার ৪৮ ঘন্টার হরতাল করতে তিনি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার সাজেদুর রহমান বাবলু, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, এমএ শামীম আরজু, মাহামুদুর রহমান আল কাদরী, এসএম ওমর ফারুক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু, সামসুজ্জাজাহিদ,ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন কানাই, যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গাজী গোলজার হোসেন গোলো, ত্রান ও পুনর্বসান বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মানু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম টিটু, যোগাযোগ সম্পাদক হাজী রবিউল আওয়াল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মঈদ বাবুল, সহ-প্রচার সম্পাদক খান এ করিম ওকুল, জাহাংগীর হোসেন, শহর বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল মোল্লা, সহ-প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লাবু, আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর শরীফ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কেএইচ সরওয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হাকিম মাসুদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আরিফুর রহমান সুমন, যুব নেতা মিলন চৌধুরী, শহর যুবদলের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান কুটি, যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল হাসান খালিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, শহর যুব নেতা আব্দুর রশিদ মালু, আল আমিন শাহীন, রুহুল আমিন মোনো, যুব নেতা খন্দকার সামসুদ্দোহা লাল্টু, সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাপ্পী, শহর ছাত্রদলের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মিথুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ম্যাক, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল আওয়াল বাদশা,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন