মঙ্গলবার, এপ্রিল ০৯, ২০১৩

কুষ্টিয়ায় হেফাযতে ইসলামের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : আহত-৭

আব্দুম মুনিব : কুষ্টিয়ায় হেফাযতে ইসলামের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে হেফাযতে ইসলামের অন্তত ৭ জন কর্মী। এসময় হেফাজতে ইসলামের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অবশ্য গ্রেপ্তারের ৫ ঘন্টা মুফতি আব্দুল হামিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সকালে হেফাযতে ইসলামের নেতা কর্মীরা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ তাতে বাধা প্রদান করে এবং লাঠিচার্জ করে । এসময় খোরশেদ আহমেদ (৬৫), আবুল কাশেম (৪৫), আবুল কালাম (৪০), হুজায়ফা (৩০), রবিউল আউয়াল (২৫), মুস্তাকিম (২১), আব্দুল হালিম মাহমুদ (২৪)সহ হেফাজতে ইসলামের ৭ কর্মী আহত হয়। হেফাযতে ইসলামের নেতৃৃন্দের জানান, দলের নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের
উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭ জন কর্মীকে আহত করেছে এবং মুফতি মাওলানা আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে। নেতৃবৃন্দ জানান, বিনা কারণে মুফতি মাওলানা আব্দুল হামিদ (৫২)কে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় দলের নেতৃবৃন্দের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে ইসলামের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুফতি আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করে মডেল থানায় হাতে হ্যান্ডক্যাপ দিয়ে রাখে।
দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মুফতি আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দলের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ মিছিলও করে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান দলের নেতৃবৃন্দ। পরে আলোচনা সাপেক্ষে পুলিশ মুফতি আব্দুল হামিদকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আটকের ৫ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়। পুলিশ জানায়, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিলো পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হরতাল চলাকালে গতকাল সকাল থেকেই শহরের সব দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। শহরে মানুষ জনের উপস্থিতি কম থাকায় শহর ছিলো ফাকা। কুষ্টিয়া থেকে দুরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি কোন বাস কুষ্টিয়ায় আসেনি। তবে ট্রেন চলাছল ছিল স্বাভাবিক। কিছু অফিস আদালত খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল কম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন