রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৩

পোড়াদহ রেল গেটে গাড়ী পার্কিং-এর জায়গা নির্ধারণ : রেলওয়ে কর্মকর্তাদের পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলগেট সংলগ্ন অব্যবহৃত ফুড গোডাউন ও তার পাশের পরিত্যাক্ত দোতলা বিল্ডিং ভেঙ্গে বিভিন্ন যানবাহন রাখার জন্য পার্কিং এর ব্যবস্থা করার দাবী তুলেছে এলাকাবাসী। এজন্য রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবদেন পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের রাজশাহী জোনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। লিখিত আবেদনপত্র ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশের প্রথম জংশনের আশে পাশের সকল জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট ও মার্কেট। পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে আগত যাত্রী সাধারণের বহন কারী যানবাহন রাখা বা পার্কিং করার জায়গা নেই। সম্প্রতি হাই কোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকি তার নিজ গ্রামের বাড়ী মিরপুর উপজেলার আটিগ্রামে বেড়াতে আসেন। বেড়ানো শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য পোড়াদহ জংশন ষ্টেশনে আসেন। কিন্তু ষ্টেশনে আসার জন্য তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কার পোড়াদহ রেল গেটে যানজটে আটকে যায়। ষ্টেশনে ঢোকার জন্য গাড়ী পার্কিং-এর ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকি ব্যাপারটি উপলদ্ধি করতে পেরে বিষয়টি পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন মাষ্টারসহ রেলওয়ে রাজশাহী জোনের প্রধানকেও অবহিত করেন এবং পোড়াদহ রেলগেট সংলগ্ন মসজিদের পাশে দোকানগুলো ও পরিত্যাক্ত গোডাউন ভেঙ্গে গাড়ী পার্কিংএর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন। রেলওয়ে রাজশাহী জোনের প্রধান বিষয়টি দেখঅর জন্য পাকর্শী বিভাগীয় প্রধানকে জায়গাটি সরোজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। গত ১০দিন আগে রেলওয়ে চুয়াডাঙ্গা এবং পোড়াদহ ভূ-সম্পত্তি অফিসের কানুনগো জায়গাটি মাপযোগ করে যায়। বিষয়টি আছ করতে পেরে স্থানীয় প্রভাবশালী কুচক্রী মহল মসজিদের পাশের জায়গাটি পরিবর্তন করে রেলগেটের পশ্চিমে নিমতলা মার্কেট এবং সুইপার কলনী ভেঙ্গে গাড়ী পার্কিংএর জায়গা তৈরী করার উঠে পড়ে লেগেছে। শুধু তাই নয় রেলওয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসের শেষের দিকে বিচারপতি পুনরায় তার নিজ এলাকায় আসেন এবং রেলগেট সংলগ্ন গাড়ী পার্কিংএর ব্যবস্থা না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাড়াতাড়ী ব্যবস্থা করার জন্য রেলওয়ে কর্মকর্তাদের জানান। অথচ ২০বছরে বেশি সময় ধরে রেল গেটের পশ্চিম পাশে নিমতলায় রেলওয়ের লিজ কৃত জমিতে ব্যবসায়ীরা ৫৬টি দোকানঘর বানিয়ে ব্যবসা করে আসছে। এছাড়া রেলওয়ের সুইপার কলনীসহ ৫টি পরিবার বসববাড়ী নির্মাণ করে ভোগ দখল করছে। দোকান মালিকগণ ক্ষুদ্রব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। অপর দিকে সর্বশেষ গত ১২সেপ্টেম্বর পোড়াদহ রেলগেটের পাশে গাড়ী পার্কিংএর নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন পাকর্শী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক, প্রকৌশলনী ও ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তারা। এলাকাবাসী ও দোকান মালিকদের দাবী পোড়াদহ রেলগেট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে দোকানঘর এবং সুইপার কলনী না ভেঙ্গে মসজিদের পাশে অব্যবহৃত ফুড গোডাউন ও তার পাশের পরিত্যাক্ত দোতলা ভবন ভেঙ্গে রেলওয়ের পার্কিং ব্যবস্থা করা। এতে করে রেল গেটের দুই পাশের যানজট মুক্ত হবে। এব্যাপারে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন